সুজিত মণ্ডল, শান্তিপুর: শ্মশানে মৃতদেহ সত্কার করতে আসা দুই পাড়ার বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা। গন্ডগোলের সময় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে এক যুবককে খুনের অভিযোগ।
গতকাল গভীর রাতে এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর শ্মশানে। মৃতের নাম বাপ্পা বিশ্বাস (২৪)। পেশায় তিনি কাপড় ব্যবসায়ী। বাড়ি শান্তিপুরের গবারচর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, গবারচর এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবেশী এক বৃদ্ধাকে নিয়ে শ্মশানে আসেন। বাপ্পাও ছিলেন সেই শ্মশানযাত্রীদের মধ্যে। অন্যদিকে, পাঁচপোঁতা এলাকা থেকে কয়েকজন মত্ত যুবকও মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে আসেন।
শ্মশানে ডিজে বাজিয়ে নাচা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয়। অভিযোগ, সে সময়ই গবারচর এলাকার বাসিন্দা বাপ্পাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে মহিলা-শিশুদের আটকে রেখে ব্যবসায়ীর বাড়িতে লুঠ ডাকাতদলের
অন্ধকারের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাপ্পার পেটের বাঁদিকে আঘাত করে মধ্যপ যুবকরা বলে অভিযোগ। রাতেই রক্তাক্ত অবস্থায় বাপ্পাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানিয়ে দেন।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে, হুগলির হরিপালে লক্ষ্মীপুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে অশান্তি। মোসাইমোড় এলাকায় পুলিশের আপত্তি সত্ত্বেও ডিজে সহ বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করা নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত।
আরও পড়ুন: নর্দমা দিয়ে বইছে রক্ত, ঘর থেকে উদ্ধার পচন ধরা ঝুলন্ত দেহ
অভিযোগ, স্থানীয় একটি পুজো কমিটির সদস্যরা পুলিসের বারণ শুনতে চায়নি। এই নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। তারপর বেধে যায় সংঘর্ষ। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। অভিযোগ, আশপাশের কয়েকটি বাড়ির কাচও ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। পুজো কমিটির কয়েকজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে।