সুজিত মণ্ডল, কৃষ্ণনগর: ২৫ ঘণ্টা পার। শিয়ালদা-লালগোলা শাখায় নদিয়ার জালালখালি হল্টে এখনও চলছে রেল অবরোধ। সমস্ত ট্রেনের স্টপেজের দাবিতে গতকাল সকাল ৭টা থেকে রেল অবরোধ শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধের জেরে বিভিন্ন স্টেশনে আটকে রয়েছে একাধিক ট্রেন। কাজের দিন হওয়ায় ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা। অবরোধের জেরে অন্য রুট দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেন।
করোনা আবহে রাজ্যে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল লোকাল ট্রেন পরিষেবা। রাজ্য় সরকারের সম্মতিক্রমে রবিবার থেকে ফের চালু হয়েছে লোকাল ট্রেন। ১৭৮ দিন পর সর্বসাধারণের জন্য ফের গড়াতে শুরু করেছে লোকাল ট্রেনের চাকা। সরকারি থেকে বেসরকারি, অধিকাংশ অফিস খুলে গেলেও, লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় গত ছ’মাসে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে যাত্রীদের একটা বড় অংশকেই। অবশেষে রবিবার থেকে ট্রেন চালু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রায় প্রত্যেকেই। অনেকে আবার নজর দিচ্ছেন করোনাবিধি রক্ষার ওপরেও।
৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে লোকাল ট্রেন চালু করার কথা বলা হলেও, প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি ট্রেনে মারাত্মক ভিড় দেখা যাচ্ছে। কোথায় ৫০ শতাংশ যাত্রী! কোথায় সামাজিক দূরত্ব! দেখা যাচ্ছে সেই বাদুড়ঝোলা ট্রেনেরই ছবি। শিয়ালদা-হাওয়ার মতো স্টেশনে লোকাল ট্রেন থামতেই দেখা যাচ্ছে, গিজগিজ করছে কালো মাথার সারি। এই পরিস্থিতিতে অশনি সংকেত দেখছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
ফুসফুস বিশেষজ্ঞ সুজন বর্ধন বলেছেন, ‘কীভাবে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ট্রেন চালানো যাবে, সেটা বোঝা যাচ্ছে না, কারণ কোভিড নির্মুল হয় না। আগামীদিনে কী হবে বোঝাই যাচ্ছে। এইভাবে লোকাল ট্রেন চললে সংক্রমণ বাড়বে।’
তবে করোনা আবহে মাস্ক পরা নিয়ে কড়াকড়ি করছে রেল। কোনও যাত্রী মাস্ক না পরলে নেওয়া হচ্ছে ফাইন। শিয়ালদা স্টেশনেও মাস্ক না পরলে করা হচ্ছে জরিমানা। সেই সঙ্গে যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর কাজও চলছে। আগামীদিনেও এই নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছে রেল।