কলকাতা :  বাংলার ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শুরু থেকেই সবুজ ঝড়  ।  বিজেপির হাতছাড়া হল মাদারিহাটও। প্রতিটি কেন্দ্রেই বিরাট ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে এনেছে ঘাসফুল শিবির। ৬ টি কেন্দ্রের প্রথম ফলঘোষণা হল নৈহাটিতে। ৪৯ হাজার ২৭৭ ভোটে সেখানে জয় পেলেন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ ভৌমিকের ব্যবধানকেও ছাপিয়ে গেলেন তিনি। 


ভাল ব্যবধানে জয়ের পর সনৎ দে এই জয়কে নৈহাটির মানুষের জয় বলেন। জানান,  এখন  দায়িত্ব আরও বাড়ল। বললেন প্রথমেই নজর দেবেন, নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উন্নয়নের দিকে। আর প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বললেন, এই জয় মানুষের জবাব। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যাবতীয় অপ্রচারের জবাব দিল মানুষ।   


এককালে নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্র বামেদের দুর্ভেদ্য গড়।  ২০১১ সালে পরিবর্তনের পর পার্থ ভৌমিক পরপর তিনবার নৈহাটির বিধায়ক  হয়েছেন। তাই পার্থ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, 'নৈহাটিতে বিজেপিও যাঁরা করেন, তাঁরাও বিপদে পড়লে কোথায় আসতে হবে যানেন, পার্থ ভৌমিকের বাড়িতে'।


২০২৪ সালে পার্থ  ভৌমিক ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে হারিয়ে দেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহকে। তিনি সাংসদ হয়ে যাওয়ায় হিসেবে  বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। তারপর পার্থর ছেড়ে আসা আসনে প্রার্থী হন সনৎ দে। এলাকায় তাঁর কাউন্সিলর হিসেবে যথেষ্ট নাম-ডাক-খ্যাতি থাকলেও, এই ভোটে পার্থ-ফ্যাক্টরই কাজ করেছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 


প্রচার চলাকালীন নৈহাটির তৃণমূল প্রার্থীকে একজোট হয়ে সমর্থন জানান,  ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহামেডানের কর্তারা, যা এককথায় বাংলার ফুটবল ইতিহাসে নজিরবিহীন। নৈহাটি বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে-র প্রচারে ভিডিও বার্তা দেন তিন প্রধানের তিন অন্যতম শীর্ষকর্তা। আর সেই বার্তা, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তৃণমূল। ময়দানের তিনপ্রধানের পাশাপাশি, শাসক দলের প্রার্থীর পক্ষে বার্তা দেন রাজ্য় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা IFA-র প্রধানও। তারপর ভোটপ্রচারে ক্রীড়াক্ষেত্রের মাথাদের জড়ানো নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয় বিজেপি। অন্যদিকে  বাংলার ফুটবল জগতে ভোট-রাজনীতির ছোঁয়া লাগার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাস্তায় নামেন ময়দানের ৩ প্রধানের সমর্থকরা। গোষ্ঠ পালের মূর্তির সামনে সামিল হন সমবেত প্রতিবাদে। মানববন্ধনে এক হন তাঁরা। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল আর জি কর-কাণ্ড নিয়ে তোলপাড়ের সময়। 


কিন্তু নৈহাটির মানুষ দেখিয়ে দিল জনসমর্থন আছে তৃণমূলের সঙ্গেই। 


 


আরও পড়ুন : 


সরছেন, না কি সরতে হচ্ছে? BJP কি সন্ন্যাসের পথে ঠেলে দিচ্ছে দিলীপকে? জল্পনা বাড়ল তাঁরই মন্তব্যে