প্রকাশ সিনহা, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি (recruitment scam) মামলায় ধৃত যুব তৃণমূল নেতা (youth tmc leader) কুন্তল ঘোষকে (kuntal ghosh) জেরা করে উঠে আসছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (partha chatterjee) নাম, খবর সূত্রে। শোনা যাচ্ছে, আজ নগর দায়রা আদালতে তাঁকে পেশ করার সময় সেই তথ্যই পেশ করতে পারে ইডি (ED)। এর মধ্য়েই যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের ১৪ দিনে জেল হেফাজত শেষ হয়েছে। এদিন তাঁকে নগর দায়রা আদালতে পেশ করার কথা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।


আর কী?
সূত্রের খবর, গত ১৪ দিনে কুন্তলকে জেরা করার পাশাপাশি গোপাল দলপতি ও তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদে যে নতুন তথ্য উঠে এসেছে, তা নিয়েও আদালতে রিপোর্ট পেশ করবে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। ধৃত যুব তৃণমূল নেতা জামিনের আবেদন জানালে, তার বিরোধিতা করে জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করার আবেদনও জানানো হবে বলে খবর। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। পরে তাঁর বাড়ি থেকে ওএমআর শিট বাজেয়াপ্ত করা যায় বলে ইডি। উল্লেখযোগ্য, এর মধ্যে ৩০টি ওএমআর শিট ২০২২ সালের। বেশ কিছু পুরনো ওএমআর শিটও বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সূত্রের খবর, আরটিআই-এর মাধ্যমে এই ওএমআর শিট পান কুন্তল। ইডি সূত্রে খবর, জেরার মুখে এমনই দাবি করেন কুন্তল ঘোষ। কেন আরটিআই করেছিলেন, তার কোনও জবাব দেননি কুন্তল। আরটিআই করার কোনও প্রমাণও দেখাতে পারেননি কুন্তল, খবর সূত্রের। এদিকে, কুন্তল ঘোষের বাড়িতে টেটের ওএমআর শিট মেলায় বিস্মিত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 'কিছু দুষ্কৃতী রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে। কী করে কুন্তলের কাছে গেল ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড ?' প্রশ্ন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের।  'কুন্তলের বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে ১৮৯টি ওএমআর শিট'। আদালতে জানালেন পর্ষদের আইনজীবী।  'কারা বসে রয়েছে পর্ষদে ? কী করে হয় দুর্নীতি? কেউ নিজে কিছু করবে না , আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করে দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা বরদাস্ত নয়',  মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


খোঁজ গোপাল দলপতির...
অন্যদিকে এই তদন্তেই খোঁজ মেলে গোপাল দলপতির। ইডি দফতরে নিজেই ফোন করেন গোপাল দলপতি। দুপুর নাগাদ নিজেই ফোন করেন ইডি দফতরে। ফোন করে নিজের বয়ান রেকর্ড করাতে চান বলে জানিয়েছিলেন গোপাল দলপতি। এমনকী তিনি এটিও জানান, যে তিনি কলকাতাতেই আছেন। কুন্তল ঘোষের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন গোপাল দলপতি। পরে দুজনকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন একাধিকবার কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন কুন্তল ও গোপাল। কুন্তল ১৫ কোটি টাকা দেওয়ার দাবি করলেও, তা অস্বীকার করেন গোপাল, এমনটাই ইডি সূত্রের দাবি।


আরও পড়ুন:অভিযোগের পাহাড়, এবারও জামিন হল না! জেলেই অনুব্রত