রুমা পাল, সন্দীপ সরকার, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়, ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার জন বাড়ি পাবেন। ৩১শে ডিসেম্বর শেষ দিন। তার আগে, এই তালিকা সম্পূর্ণ করতে হবে। প্রশাসন সূত্রে দাবি, এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষ আবেদনকারীর নাম বাদ গেছে । এদিন জেলা শাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব।
কান্দি থেকে কাকদ্বীপ। বিনপুর থেকে নানুর। দিকে দিকে বেনজির পরিস্থিতি! প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে কোথাও কাঠগড়ায় তৃণমূল। কোথাও আবার বিরোধীরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষ আবেদনকারীর নাম বাদ গেছে।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় প্রায় ৫৬ লক্ষ মানুষ নাম নথিভুক্ত করেছিলেন। এরপর, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা মেনে প্রাথমিকভাবে ৫ লক্ষ আবেদনকারীর নাম বাদ যায়। সমীক্ষার পর, নাম বাদ যায় আরও ১২ লক্ষের। এখন ৩৯ লক্ষ যোগ্য উপভোক্তার নাম তালিকায় রয়েছে। যদিও সূত্রের দাবি, এঁদের মধ্যে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৪৮৮ জন আবাস যোজনায় বাড়ি পাবেন।
ইতিমধ্যেই দু-লক্ষের মতো আবেদনকারীর নাম চূড়ান্ত হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বকিদের নামও চূড়ান্ত হবে। বুধবার, জেলা শাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। সেখানে, আবাস যোজনার কাজ ধীর গতিতে হওয়ায়, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, আলিপুরদুয়ার এবং উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাকসকে কড়া বার্তা দেন তিনি। কাজের গতি বৃদ্ধির জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, বৈঠকে ২৫ দফা গাইডলাইন দিয়েছেন মুখ্যসচিব । তাতে বলা হয়েছে, ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরি করতে হবে। টাকা দেওয়ার আগে, করতে হবে জিওট্যাগিং। বাড়ি তৈরির উপর নজরদারি করবেন জেলাশাসক, মহকুমা শাসকরা। বিশেষ ভাবে সক্ষম, প্রবীণ এবং বিধবাদের ক্ষেত্রে সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের যে নির্দেশিকা মেনে সমীক্ষা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে পাকা বাড়ি থাকা চলবে না। ইন্দিরা আবাস যোজনা, গীতাঞ্জলি আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়ে থাকলে, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি পাবেন না।
বাইক, গাড়ি এবং মোটর চালিত মাছ ধরার নৌকা, ট্রাক্টর থাকলে তাঁর নামও বাদ যাবে। পরিবারের কেউ সরকারি চাকরি করলে বা মাসিক আয় ১০ হাজার টাকা হলে, তিনিও বাড়ি পাবেন না। বাড়িতে ফ্রিজ, ল্যান্ড ফোন থাকলেও এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে না।