নামখানা: প্রধান নির্বাচনে (Panchayat Pradhan Selection) কারচুপির অভিযোগে নামখানার (Namkhana) বিডিও অফিসের সামনে  -বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। বিজেপির (BJP) অভিযোগ, শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নির্বাচনে তাদের মনোনীত প্রার্থীকে হারাতে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হয়। বিডিও অফিসের কর্মীর মদতেই সেই ছাপ্পা ভোট দেয় তৃণমূল। এর ফলে তৃণমূলের প্রার্থী প্রধান নির্বাচিত হয়েছে। বিডিও অফিসের কর্মীর মদতেই এই কারচুুুপি চলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। অভিযুক্ত সরকারি কর্মীর গ্রেফতারের দাবিতে কাল ৬ ঘণ্টা বিডিও-কে আটকে রেখে বিজেপির অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। এই ইস্যুতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিজেপি। বিডিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি, প্রধান নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল (tmc)। 


পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে ভোটদান, গণনা। দিকে দিকে সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। এবার বোর্ড গঠন ঘিরে জেলায় জেলায় চরম অশান্তি অব্যাহত।  মালদার চাঁচল থেকে হুগলির আরামবাগ! কোথাও ধস্তাধস্তি, কোথাও বিক্ষোভ, তো কোথাও জ্বলল আগুন! দিকে দিকে ফের প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল! যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। 


গতকালই উত্তপ্ত হয় উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ এবং জলপাইগুড়ির খড়িয়া। দুটি ক্ষেত্রেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। কালিয়াগঞ্জের মুস্তাফানগরে বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে। জলপাইগুড়ির খড়িয়ায় পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বিজেপি নেতা ও কর্মীরা। দুটি ক্ষেত্রেই তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। 


অন্যদিকে গতকাল সিপিএম সদস্যের সমর্থনে, মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করেছে বিজেপি। এই ঘটনাকে, রাম-বাম অশুভ আঁতাঁত বলে কটাক্ষ করে তৃণমূল। পার্টি লাইনের বাইরে গিয়ে ওই সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। দাবি করেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।                                     


উল্লেখ্য, দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরের পর এবার নদিয়ার ৭০ জন জয়ী বিরোধী প্রার্থীকে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Kolkata High Court) ! বলা হয়েছে, বোর্ড গঠনের আগে পর্যন্ত নিরাপত্তা দিতে হবে।                                     


আরও পড়ুন: Recruitment Scam : মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ড-সহ এবার কোচবিহারের ২৩ জন শিক্ষককে তলব সিবিআই-এর