দুর্গাপুর : আর জি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। যে ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ঘটে যায় কসবা কলেজের ঘটনা। যাকে কেন্দ্র করে ফের একবার বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যজুড়ে। এই দুই ঘটনার কথা এবার উঠে এল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। এদিন এই দুই ইস্যুতে দুর্গাপুরের সভা থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় তৃণমূলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। আর জি করকাণ্ডের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, "আজ পশ্চিমবঙ্গে হাসপাতালও মেয়েদের জন্য সুরক্ষিত নয়। আপনারা দেখেছেন, যখন চিকিৎসক-বেটির সঙ্গে অত্যাচার হয়েছিল, তখন কীভাবে তৃণমূল সরকার অপরাধীদের বাঁচাতে নেমে পড়েছিল।" এরপরই সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া সাউথ সিটি ল'কলেজের ঘটনা উঠে আসে তাঁর মুখে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "এই ঘটনা (আর জি কর) দেশ এখনও ভুলতে পারেনি, আরও একটি কলেজে এক কন্যার সঙ্গে ভয়ঙ্কর অত্যাচার করা হয়েছে। এই ঘটনাতেও যারা অভিযুক্ত তাদের যোগাযোগ রয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে। তৃণমূলের বড় নেতা-মন্ত্রীরা অভিযুক্তদের পরিবর্তে অত্যাচারিতাকেই দোষ দিচ্ছেন। এমন অনেক উদাহরণ আছে যা তৃণমূলের নির্মমতার সাক্ষী। আমাদের একসঙ্গে বাংলাকে এই নিমর্মতা থেকে বের করতে হবে।"

Continues below advertisement

আর জি কর ও কসবা কলেজের ঘটনা-

৯ অগাস্ট ২০২৪, RG কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ ওঠে। তার ১০ মাসের মাথায়, কসবায় সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথম বর্ষের আইন পড়ুয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় গ্রেফতার হন ওই কলেজেরই প্রাক্তনী ও প্রাক্তন TMCP নেতা মনোজিৎ মিশ্র, প্রথম বর্ষের আইন পড়ুয়া জেব আহমেদ ও কলেজে নির্যাতিতার সিনিয়র প্রমিত মুখোপাধ্যায়। কলেজ চত্বরে গণধর্ষণের ঘটনায় নাইট গার্ড পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেফতার করে কসবা থানার পুলিশ।

Continues below advertisement

RG কর মেডিক্যালে চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায় দিনকয়েক আগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। নিজেকে বেকসুর দাবি করেছে সঞ্জয়। এনিয়ে মামলা গ্রহণ করেছে আদালত। বিচারপতি দেবাংশু বসাকের এজলাসে সেপ্টেম্বরে মামলার শুনানি। গত ২০ জানুয়ারি RG কর মেডিক্যালে ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্য়স্ত হয় সঞ্জয় রায়। আমৃত্য়ু কারাদণ্ডের সাজা দেন শিয়ালদা আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। কিন্তু, দোষী কি সঞ্জয় রায় একা ? নাকি আরও কেউ ? সেই প্রশ্নের উত্তর আজও অধরা। এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে আগামী ৯ অগাস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন আর জি করের নিহত চিকিৎসকের বাবা-মা। পতাকা, ব্যানার ছেড়ে সব স্তরেব মানুষের কাছে অভিযানে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও।