রঞ্জিত হালদার, নরেন্দ্রপুর: একদিকে যখন শহরজুড়ে প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হচ্ছে। ঠিক তখনই বিপত্তি। ২৮৫ টাকার জুতো কিনতে গিয়ে খোয়া গেল ১৯ হাজার ৫৯ টাকা। ই-কমার্স সাইটে প্রতারণার অভিযোগ উঠল নরেন্দ্রপুরে। অভিযোগকারিণীর দাবি, মঙ্গলবার ই-কমার্স সাইটে তিনি ২৮৫ টাকার একটি জুতো অর্ডার দেন।


অভিযোগ, অনলাইনে পেমেন্ট করতে গিয়ে সমস্যা হওয়ায় ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া হেল্পলাইনে ফোন করলে সেখান থেকে অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলে ওটিপি চাওয়া হয়। সেই ওটিপি জানানোর পরেই তিন দফায় অভিযোগকারিণীর অ্যাকাউন্ট থেকে ১৯ হাজার ৫৯ টাকা গায়েব হয়ে যায় বলে অভিযোগ। নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। বারুইপুর পুলিশ জেলার তরফে জেলাজুড়ে সাইবার সচেতনতা অভিযান চলাকালীনই এই ঘটনা। 


কোচবিহারে চাকরির নামে প্রতারণা: বেহালার পর্ণশ্রীর পর এবার কোচবিহার (Coochbehar News)। ফের অস্ত্র হাতে নিয়ে হুমকি দেওয়ার ছবি ভাইরাল। প্রতারণা নিয়ে প্রশ্ন করাতেই পিস্তল দেখিয়ে হুমকি। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতার। অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।


ফের পিস্তল দেখিয়ে হুমকি: হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, ট্রিগারে আঙুল, একেবারে মারমুখী। যখন তখন পিস্তল থেকে ছিটকে বেরিয়ে আসতে পারে গুলি। শেষপর্যন্ত সেটা না হলেও, ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়ে গেছে কোচবিহারের পুণ্ডিবাড়িতে। পিস্তল হাতে যাকে দেখা যায়, তিনি হলেন নরোত্তম সরকার। একটি ধাবার নিরাপত্তারক্ষী।অভিযোগ, চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক মানুষের কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা নিয়েছেন তাঁর ছেলে। প্রতারণায় অভিযুক্ত এক ডাককর্মীও। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর দাবি, রবিবার রাতে প্রতারণা নিয়ে প্রশ্ন করাতেই, তাঁর দিকে পিস্তল তাক করে হুমকি দেন নরোত্তম। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও।


খাস কলকাতায় ব্যাঙ্ক প্রতারণা: এর আগে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার (fake bank manager) পরিচয় দিয়ে প্রতিবেশীর থেকে কয়েক কোটি টাকা প্রতারণার (fraud) অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার করেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। 


পুলিশ সূত্রে খবর, সল্টলেকের এফ ই (FE) ব্লকের বাসিন্দা আশি বছর বয়সী রবীন্দ্রনাথ সাহা। তিনি বিধাননগর দক্ষিণ থানায় এসে অভিযোগ জানান প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। তিনি জানান যে তাঁর প্রতিবেশী সৌগত মিশ্র, নিজেকে ব্যাঙ্কের ম্যানেজার হিসেবে পরিচয় দিত।


ওই ব্যক্তি বৃদ্ধকে বারবার ব্যাঙ্কের কাজে সহযোগিতা করার জন্য প্রতিশ্রুতিও দিতেন। তাই তাঁকে ভরসা করে দীর্ঘ দিন ধরেই তাকে দিয়ে ব্যাঙ্কের টাকা লেনদেন করতেন রবীন্দ্রনাথ বাবু। এমনকী 'বিশ্বস্ত' ব্যক্তি হওয়ায় তাঁকে ব্ল্যাঙ্ক চেক সই করে দিয়ে দিতেন, টাকার অঙ্ক না লিখে। 


তবে বেশ কিছুদিন আগে বৃদ্ধ একদিন তাঁর ব্যাঙ্কের পাস বই ওই প্রতিবেশীর কাছে চাইলে তিনি দিতে অস্বীকার করেন। পরে বৃদ্ধ ব্যাঙ্কে গিয়ে জানতে পারেন দীর্ঘদিন ধরে বারবার তার অ্যাকাউন্ট থেকে বড় অঙ্কের টাকা তুলে নিয়েছেন ওই প্রতিবেশী। মোট ৩ কোটিরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন অভিযুক্ত। এরপরই বিধাননগর দক্ষিণ থানার দারস্থ হন ওই বৃদ্ধ।