কলকাতা: 'সন্দেশখালিতে গিয়েও পুলিশের বাধায় নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্যরা', তাই তাঁকে যেতে হচ্ছে, সন্দেশখালি (Sandeshkhali Violence) যাওয়ার আগে পুলিশি বাধার অভিযোগ তুললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। দিল্লি থেকে কলকাতায় পৌঁছেও রাজ্যের বিরুদ্ধে সরব তিনি (Rekha Sharma)। এবং কথা বলতে না দেওয়ার জন্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিকে আঙুল তুললেন রেখা শর্মা। 


কলকাতায় জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা


আজ সন্দেশখালিতে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলতে চান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। তারপর রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন রেখা শর্মা। রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতিকে সন্দেশখালির পরিস্থিতি জানাবেন বলেও জানিয়েছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।


'সন্দেশখালির নির্যাতিতারা নির্ভয়ে কথা বলুক..'


কলকাতায় পৌঁছে রেখা শর্মা বলেন, 'সন্দেশখালি থেকে অশান্তির খবর আসছে। আমদের একজন সদস্য অনুসন্ধান করে এসেছেন। পুলিশের কারণে সে অনেক নির্যাতিতাদের কাছে পৌঁছতে পারেননি। এবার আমি যাচ্ছি। আমার কথা হয়ে গিয়েছে।আমি চাই ওনাদের পুরো বিচার মিলুক। যেই নির্যাতিত হোক না কেন, তিনি সামনে এসে আমার সঙ্গে কথা বলুক। কেউ যেন বলতে ভয় না পায়, কারণ আমরা তিন জন মহিলা আছি, নির্যাতিতাদের কথা শোনার জন্য। আমরা ওনাদের পাশে আছি।'


মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তুললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা ?


রেখা শর্মা আরও বলেন,' অভিযোগ এলেও পুলিশ সবকিছু চাপা দিয়ে রাখে। প্রশাসন কানে নেয় না। আজকে জানতে পারলাম ডিএম বাইরে আছেন। আমি ঘটনাস্থলে গেলে কোনও দিনই ডিএম, এসপি-দের দেখা পাই না। প্রত্যেকটা সময়ই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁদের প্রশাসনিক স্তরে অফিসারদের দেখা করতে দেন না কেন্দ্রীয় সংস্থার সঙ্গে। যাতে সত্য সামনে বেরিয়ে না আসে। কিন্তু প্রকৃত সত্য সবসময় বাইরে বেরিয়ে আসবেই।'


আরও পড়ুন, 'তথ্য প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছেন বহু অভিযুক্ত..', ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় ফের তৎপর CBI


(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)