সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বুধবার নতুন করে বড়সড় অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে নেপাল জুড়ে এখন শুধুই ধ্বংসের ছবি। টহল দিচ্ছে সেনা। জায়গায় জায়গায় এখনও উঠছো ধোঁয়া। সম্প্রতি ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, এক্স-সহ ২৬টি সমাজমাধ্যম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার। দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দেয় KP শর্মা ওলির ওই সিদ্ধান্ত। প্রতিবাদে সোমবার পথে নামে দেশের ছাত্রযুবরা। জ্বলে ওঠে অশান্তির আগুন।
এহেন পরিস্থিতির মধ্যেই বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহর মন্তব্যে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে। অর্জুন সিংহ বলেন, 'নেপালের মতো বাংলাতেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হওয়া প্রয়োজন। বিনা রক্তপাতে কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত শাসক বা শাসন ব্যবস্থা শেষ হয় না'।
বিজেপি নেতার মন্তব্যর প্রেক্ষিতে ব্যারাকপুর কমিশনারেটে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কমিশনারেটের থানায় থানায় অভিযোগ দায়ের করল তৃণমূল। ভাটপাড়া, জগদ্দল, নৈহাটি, টিটাগড়-সহ একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের ।
শাসক দলের তরফে বলা হয়েছে, 'রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের কথা বলে উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুনের চক্রান্ত করছেন'।
এদিকে নেপালে সমাজমাধ্যমের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলেও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। ওলির পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। রাস্তায় তাড়া করে মারধর করা হয় নেপালের উপপ্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিষ্ণু পৌডেলকে। পুড়িয়ে মারা হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকে। বিক্ষোভের মুখে নতি স্বীকার করে, রাষ্ট্রপতি র কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। চলতে থাকে ভাঙচুর আগুন, বিক্ষোভ।
উন্মত্ত জনতার রোষের মুখে মঙ্গলবার এক সময় ভেঙে পড়ে পুলিশি বাধা। সংসদ ভবনে ঢুকে তাণ্ডব চালায় আন্দোলনকারীরা। শুধু সংসদ ভবনই নয়, সংসদ চত্বরে থাকা পুলিশ, দমকলের গাড়ি, সেনা ছাউনিও বাঁচতে পারেনি জেন-জির ক্ষোভের আগুন থেকে। এমনকী আগুন নেভাতে এলে আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচতে পারেনি দমকলও।
বুধবার নতুন করে বড়সড় অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। তবে নেপাল জুড়ে এখন শুধুই ধ্বংসের ছবি। টহল দিচ্ছে সেনা।