কলকাতা: রেড রোডে নেতাজির জন্মজয়ন্তী (Subhas Chandra Bose Jayanti) পালন। সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমবেত সঙ্গীতের পর শাঁখ ও সাইরেন বাজিয়ে নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, নেতাজির নামে রাজ্যে আরও একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি হবে। কেন্দ্রের যোজনা কমিশন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করলেন তিনি। বললেন, ‘প্ল্যানিং কমিশনের সূচনা করেছিলেন নেতাজি। প্ল্যানিং কমিশন তুলে দেওয়া লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত ছিল। নেতাজীর সিদ্ধান্ত আজও আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য। আমরা বাংলায় প্ল্যানিং কমিশন করব। নাইবা হল জায়গা হল তাঁর দিল্লি। বাংলায় তাঁর জায়গা থাকবেই। বাংলা তো চিরদিন সারা ভারতকে পথ দেখায়। নেতাজি শুধু বাংলার নয়, গোটা বিশ্বের।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘আমরা স্কুলে স্কুলে জয় হিন্দ বাহিনী গড়ে তুলব। ঋষি অরবিন্দের ১৫০ তম জন্মবার্ষিকী পালনের কর্মসূচি স্থির হয়ে গেছে। ‘নেতাজিকে জানতে গেলে আগে বিবেকানন্দকে জানতে হবে। বাংলা নবজাগরণের পীঠস্থান।’
নাম না করে বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘কেউ কেউ ধর্মের নামে দেশে বিভাজনের চেষ্টা করছেন।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,‘নেতা গাছ থেকে পড়ে না, কাজের মধ্য দিয়ে তৈরি হয়। পাঠ্যপুস্তকে দেশপ্রেমের ইতিহাস পড়ানো হোক। গাঁধীজি কাকে বেশি ভালবাসতেন, সেটা নিয়ে বিতর্ক হোক।’
নেতাজীর মৃত্যু রহস্য নিয়েও কেন্দ্রকে নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন,‘কেন্দ্রীয় সরকার বলেছিল, সব রহস্য উন্মোচন করবে, কিছুই হয়নি। আমরা সব রকম কাগজ, তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেছিলাম।’
মমতা বলেছেন, ‘আজ বাংলাকে এত অবজ্ঞা কেন? বাংলার ইতিহাস মুছে দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।’
তিনি বলেছেন, ‘একটা মূর্তি গড়লেই নেতাজিকে ভালবাসা যায় না। অমর জ্যোতি নিভিয়ে নেতাজির মূর্তি বসালে দেশপ্রেম হয় না। ওয়ার মেমোরিয়াল নিয়ে এখন রাজনীতি হচ্ছে।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি মা-মাটি-মানুষ নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। প্রজাতন্ত্র দিবসে একটা নেতাজির ট্যাবলো থাকলে কী অসুবিধে হত? এতদিন পর কেন নেতাজির স্ট্যাচু তৈরির কথা মনে পড়ল? দেশের সব ঐতিহ্য নষ্ট করে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। নেতাজির ট্যাবলো কেন বাতিল করেছেন, আমাদের জানানো হয়নি। নেতাজির ট্যাবলো আমাদের রেড রোডে চলবে, বলে দিলাম।’