সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: SSC-র (ssc scam) শিক্ষক নিয়োগে নতুন দুর্নীতির অভিযোগ। বিস্তারিত মেধাতালিকা (merit list) প্রকাশ হতেই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ চাকরিপ্রার্থীদের (applicant)। নতুন করে মামলার অনুমতি দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (high court)। আগামিকাল শুনানির সম্ভাবনা। অভিযোগ, SSC-র নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়নি। মেধা তালিকায় নাম না থাকা এবং মেধা তালিকার নীচের দিকে থাকা বেশ কয়েকজন হাইজাম্প করে তালিকার ওপরে উঠে এসেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত. ১৪ জুলাই নম্বর বিভাজন-সহ মেধাতালিকা প্রকাশ করে SSC।


কী দাবি চাকরিপ্রার্থীদের?
হাইকোর্টে দুর্নীতির অভিযোগ কার্যত থামছেই না। প্রত্যেক দিন নতুন নতুন দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনা হল, গত ১২ জুন নবম-দশমে শিক্ষক নিয়োগের বিস্তারিত মেধাতালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেই অনুযায়ী, ১৪ জুলাই মেধাতালিকা প্রকাশ হয়। সেই তালিকায় নিয়েই ফের নতুন অভিযোগ। এক্ষেত্রে মূলত দুটি অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এক, নাম নেই এমন অনেককে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে বলে খেদ চাকরিপ্রার্থীদের। দ্বিতীয় অভিযোগটি বেশ পুরনো। চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, মেধাতালিকায় নিচে নাম এমন অনেকেই হঠাৎ হাইজাম্প দিয়ে উপরে উঠে এসেছেন। এমনিতেই এই মুহূর্তে দুর্নীতি মামলায় রাজ্য সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সকলে জর্জরিত। তার মধ্যে নতুন মামলা সমস্যা বাড়াতে পারে সরকারের, বলতে শুরু করেছেন অনেকেই। আগামিকাল শুনানির পরই অবশ্য মামলার গতিপ্রকৃতি কিছুটা বোঝা যাবে। 


দুর্নীতি মামলায়...
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে ইডি। মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ অর্পিতাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনকেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর মধ্যে অভিযান চালিয়ে অর্পিতার  টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। সঙ্গে হদিস বিপুর পরিমাণ সোনা। মিলছে গুচ্ছ গুচ্ছ দলিল ও নথি। এই সম্পত্তির উৎস কী? নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া টাকা-গয়নার কোনও সম্পর্ক আছে কি? অর্পিতাকে না জানিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে এই বিশাল অঙ্কের টাকা রাখা সম্ভব কি? সব কিছু না জেনে কেন-ই বা তিনি বিষয়টির অনুমতি দিয়েছিলেন? যত দিন এগোচ্ছে, তত বাড়ছে প্রশ্নের তালিকা। তবে আজ অর্পিতার যে স্বীকারোক্তির কথা শোনা গেল তা ইডি যে আদালতে ব্যবহার করবে, সেটা মোটামুটি স্পষ্ট। এর পর কী হবে? বলছে সময়।