শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: বর্ষার শুরুতেই কোচবিহারের (Coochbehar) গুড়িয়াহাটি এলাকায় ভাঙল ‘মরা তোর্সা’ নদীর নতুন বাঁধ (dam)। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ নির্মাণের জেরে এই অবস্থা বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তৃণমূল (TMC) জমানায় সবেতেই দুর্নীতি, কটাক্ষ বিজেপির (BJP)। অভিযোগ ওড়াল শাসকদল।
ভাঙল 'মরা তোর্সা' নদীর নতুন বাঁধ
উত্তরবঙ্গে বর্ষা পা রাখতেই কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আতঙ্ক। ভাঙল ‘মরা তোর্সা’ নদীর নতুন বাঁধ। তার ফলে ভরা বর্ষায় সাহেব কলোনি এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ১০০ দিনের প্রকল্পে তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার জেলা পরিষদের তরফে মাস তিনেক আগে এই নদীর বাঁধ তৈরি করা হয়। বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ২০ লক্ষ টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেই টাকা জলেই গিয়েছে। ২ থেকে ৩ দিন আগে ভেঙে যায় বাঁধ। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে বাঁধ তৈরির অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
কোচবিহারের গুড়িয়াহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত বাসিন্দা বাসুদেব পালের কথায়, 'বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। কয়েকদিন আগে কাজ হয়েছিল। এখন সেই বাঁধ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।' গুড়িয়াহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা অজিত দে বলছেন, '৯ ফুট উঁচু হওয়ার কথা ছিল সেই জায়গায় সাড়ে ৪ ফুট বাঁধ তৈরি করেছিল। কাজ ভাল মতো হয়নি। অবস্থা খারাপ। নতুন করে বাঁধ তৈরি করা হোক।'
বাঁধ-বিপর্যয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা
বাঁধ-বিপর্যয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। কোচবিহারের বিজেপির জেলা সম্পাদক অজয় সাহা বলেন, 'তৃণমূলের দুর্নীতি সর্বত্র। কাজ করতে গেলে ঠিকাদারকে কাটমানি দিতে হয় তৃণমূলকে। সেই কারণেই নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ হয়েছে।'
অন্যদিকে, কোচবিহার জেলা পরিষদের তৃণমূল নেতা ও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, 'খোঁজ নিয়ে দেখব কাজ কীভাবে হয়েছে কে করেছে। তবে বিজেপির দুর্নীতির অভিযোগ ভিত্তিহীন।'
দ্রুত বাঁধ মেরামত না হলে, বর্ষায় কী অবস্থা হবে তা ভেবেই আতঙ্কে দিন কাটছে গুড়িয়াহাটির সাহেব কলোনির বাসিন্দাদের।