প্রবীর চক্রবর্তী, রঞ্জিত সাউ, কলকাতা : সোমবারের পর মঙ্গলবারও শহরে সাত সকালে ভয়াবহ আগুন। একে একে পু়ড়ে ছাই একের পর এক দোকান। নিউটাউন ( Newtown Fire ) গৌরাঙ্গ নগর বাজার খুবই ঘিঞ্জি এলাকা। তাই আগুন ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি।
আগুনের গ্রাস থেকে রেহাই পায়নি শাসকদলের দফতরও
ভোর তখন ৪ টে। একজন উনুন ধরিয়ে চলে যান। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই উনুন থেকেই ধরে যায় আগুন। এরপর আর সময় লাগেনি। পরপর দোকানগুলিতে আগুন লেগে যায়। দাউদাউ আগুন আর ধোঁয়ায় ঢেকে যায় চারপাশ। একটি দোকানে থাকা পরপর ৪টি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গিয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে আরও ভয়াবহ ভাবে। বিকট শব্দে ফাটে সিলিন্ডারগুলি। এলাকাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়। সেখানেই ছিল তৃণমূলের একটি পার্টি অফিসও। আগুনের গ্রাস থেকে রেহাই পায়নি শাসকদলের দফতরও।
দমকলের ৪টি ইঞ্জিন
স্থানীয় লোকজনই খবর দেন দমকলকে। খুব ভোরের ঘটনা হওয়ায় বাজারে বেশি লোকজন ছিলেন না। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন। অনেকক্ষণের চেষ্টায় আগুন বাগে আসলেও ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকে আগুন। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে স্থানীয় সূত্রে দাবি, কারও জ্বালিয়ে যাওয়া উনুনের আগুন থেকেই যত বিপত্তি।
আরও পড়ুন ; প্রাইমারি টেটে কেমন হবে প্রশ্ন? নেগেটিভ মার্কিং থাকবে ? রইল খুঁটিনাটি
গড়িয়া স্টেশনের কাছে তিনতলা বাড়িতে আগুন
সোমবার সকালেও সকালে দু-দুটি জায়গায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। গড়িয়া স্টেশনের কাছে তিনতলা বাড়িতে আগুন ঘিরে আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই বাড়িতে বেআইনিভাবে স্পিকার তৈরির কারখানা চলত। সোমবার, কলুটোলা স্ট্রিটের একটি আবাসনের মিটার বক্সে আগুন লেগে যায়। আধ ঘণ্টার মধ্যে স্থানীয়দের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, বেআইনিভাবে এই বাড়িতে স্পিকার তৈরির কারখানা চলত। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকাতেই বিপত্তি ঘটেছে।
লরির গ্যারাজে আচমকা আগুন
আবার, মধ্যরাতে ডোমজুড়ের নিবড়ায় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে লরির গ্যারাজে আচমকা আগুন লাগে।
ভস্মীভূত হয়ে যায় লরি ছাড়াও ম্যাটাডোর, ছোট হাতি এবং বেশ কয়েকটি মোটরবাইক। আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের ছাট কাপড়ের গোডাউন, রংয়ের গোডাউন এবং অ্যাসিডের গোডাউনেও। দমকলের ৩টি ইঞ্জিনের ২ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আবাসনের মিটার বক্সে আচমকা আগুন
অন্যদিকে, বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ কলুটোলা স্ট্রিটের এই আবাসনের মিটার বক্সে আচমকা আগুন লেগে যায়। ধোঁয়ায় ভরে যায় চারপাশ। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায়, আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। প্রাথমিকভাবে, স্থানীয়রাই আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়।