সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: বছর শেষের মুখে ভয়াবহ ঘটনা নিউটাউনে। নিউটাউনে বহুতলে মহিলাকে কুপিয়ে খুন, স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার (Newtown Murder Case)। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মেয়ে। এই ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নিউটাউনের নারায়ণপুরে। ঋণ শোধ করতে না পেরে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী ওষুধ ব্যবসায়ী, অনুমান পুলিশের। মেয়েকেও ধারাল অস্ত্রের কোপ, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে (Daughter in Hospital)। 


রাজ্যে গত কয়েকমাসে একাধিক খুনের ঘটনা (Murder Case) প্রকাশ্যে এসেছে। রাজনৈতিক ইস্যুগুলি বাদ দিলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই খুনের ঘটনার পিছনে রয়েছে কোনও না কোনও পারিবারিক ইস্যু। 'বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক'-র (Extra Marrital Affairs) জেরে খুনের ঘটনা নতুন নয়। এখনও অতীতে ফিরে দেখলে বসিরহাট-নদিয়া-সহ একাধিক বিভীষিকাময় উদাহরণ উঠে আসবে। তবে হ্যাঁ বিরিয়ানি খাইয়ে নাবালিকা খুন ও ধর্ষণের ঘটনার সাক্ষীও এরাজ্যই। সম্প্রতি মাদক মিশিয়ে জামাইকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে (Murder Case)। ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ কলকাতার আনন্দপুর এলাকায়। 


গত কয়েকমাসে একাধিক অপরাধের ঘটনা ঘটেছে আনন্দপুরে। আনন্দপুরে একটি আবাসনে এক বৃদ্ধ দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়। এই আনন্দপুরেই ৫ কোটি টাকা হাতাতে গণধর্ষণের ভুয়ো অভিযোগ ওঠে। নাতনিকে বিক্রির অভিযোগে দাদু ও সৎ দিদিমা-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এবার, শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে জামাইকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ফের শিরোনামে এল আনন্দপুর। 


রাজ্যে এর আগে একাধিকবার খুনের অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। তবে জামাই খুনের অভিযোগ সেই তুলনায় কম প্রকাশ্যে আসে। তবে যেকোনও কারণেই হোক না কেন, এই ধরণের ঘটনা গুরুতর অপরাধ। সম্প্রতি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে গৃহবধূকে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। টাকা ও গয়নার দাবি মেটাতে না পারায় মেয়ের এই মর্মান্তিক পরিণতি হয়েছে দাবি পরিবারের। অভিযুক্ত শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। মৃতার স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক। 


আরও পড়ুন, মালদা থেকে বেঙ্গালুরু 'অমৃত ভারত এক্সপ্রেস' পেল বাংলা


দেবীপক্ষে শহরে আরও একটি নৃশংস ঘটনা সামনে এসেছিল। খুন গৃহবধূ (House Wife Murder)। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল স্কুল শিক্ষক স্বামী। খুনের পর, বাড়িতেই দেহ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল।পুলিশের দাবি ছিল, প্রথমে জানানো হয়েছিল, বাড়িতে আগুন লেগেছে। ঘটনাস্থলে গেলে জানানো হয়েছিল, গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছিলেন। ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত তথ্য সামনে এসেছিল। জানা গিয়েছিল, ভারী বস্তু দিয়ে মাথায় ও শরীরে আঘাত করে খুন করার পর, দেহে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তৃতীয়ার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছিল বউবাজারের (Bowbazar) যদুনাথ দে রোডে।