আবির দত্ত, কলকাতা : পড়শি রাষ্ট্রে তীব্র অশান্তি । ভারত বিদ্বেষ উঠছে চরমে। মাথাচাড়া দিয়ে ক্রমাগত হুঙ্কার ছাড়ছে উগ্রবাদী নেতা। সন্দেহ, এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে বাংলাদেশের উগ্রবাদী নেতার মুখে বাংলাদেশের পাশে থাকার বার্তা শোনা গিয়েছে, এমনকী পারমাণবিক বোমা দিয়েও সাহায্যের কথা বলেছে সে। এই আবহেই বাংলায় এনআইএ-র নজরে জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যোগ রাখা আরামবাগের এক যুবক।
শুক্রবার দেশের ৮টি রাজ্যের ১৯ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছিল এনআইএ। তাঁদের কাছে খবর ছিল রাজ্যে রাজ্যে জাল ছড়িয়েছে জৈশ-ই-মহম্মদ। বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছে তাদের লোক। ধৃত শেখ সুলতান সালাহ্উদ্দিন আয়ুবির থেকে এই তথ্য পেয়ে রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ে এনআইএ গোয়েন্দারা। তল্লাশি চালানো হয়, অসম, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, বাংলা, জমমু-কাশ্মীর, রাজস্থান, গুজরাতে। বাংলায় এনআইএ-র দলটি চলে যায় হুগলিতে । সেখানে এক যুবককের খোঁজ করা হয় বলে খবর।
সূত্রের খবর, এনআইএ বৃহস্পতিবার আরামবাগের মায়াপুর এলাকায় হানা দেয়। সেখানে শেখ সাবিরউদ্দিন আলি নামক এক যুবকের খোঁজ চালায় তারা। যদিও এখনও তার খোঁজ মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, আরামবাগে এনআইএ টিম বেশ কিছু ক্ষণ সন্দেহভাজনের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তাতে নাকি পাওয়া গিয়েছে ল্যাপটপ , পেনড্রাইভ, নগদ টাকা প্রভৃতি। এরপর থানায় হাজিরা দিতে একটি নোটিসও ঝুলিয়ে দেন গোয়েন্দারা।
সন্দেহভাজনের পিসি জানালেন, কারও সঙ্গে মেলামেশা করে না সাবিরউদ্দিন । চুপচাপই থাকে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা ও তারপর বিএড করেছে বলে পরিবারের দাবি। বাড়ির ছেলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ, তাও বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। তাঁদের দাবি, দিল্লির কোনও কেসে সাবিরউদ্দিনের খোঁজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।
সূত্রের খবর, এনআইএ তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোন, পেন ড্রাইভ, সিডি, হার্ড ডিস্ক। এ থেকেই মিলেছে সন্দেহজনক চ্যাট। ধৃত শেখ সুলতান সালাহ্উদ্দিন আয়ুবির থেকে তথ্যের ভিত্তিতেই এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রে। এদিন
বাংলার হুগলি, অসমের গোয়ালপাড়া, ঔরঙ্গাবাদ, মুম্বই, অমরবতী, ঝাঁসি, বরেলি, সাহারানপুর, বারামুলায় বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় এনআইএ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।