কলকাতা: মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া স্টেন্ট ব্যবহারের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করায় কলকাতা মেডিক্যালের (Kolkata Medical College) কার্ডিওলজি (Cardiology) বিভাগের প্রধানকে হুমকি। তৃণমূলের চিকিৎসক-বিধায়ক নির্মল মাজির (Nirmal Maji) বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলল সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম। ওরা বিরোধী, অভিযোগ তুলবেই। পাল্টা মন্তব্য নির্মল মাজির (Nirmal Maji)।
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের (Service Doctor Forum) সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাসের কথায়, রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজি (Nirmal Maji) চাপ সৃষ্টি করছেন বিভাগীয় প্রধান ডক্টর চট্টোপাধ্যায়ের উপরে, যাতে এই স্টেন্টগুলিকে ব্যবহার করার জন্য। প্রতিবাদ জানানো নির্মল মাজি তাঁকে কোচবিহারে বদলি করে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দিয়েছেন।
‘মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া স্টেন্ট ব্যবহারের জন্য চাপ দিচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) চিকিৎসক-বিধায়ক নির্মল মাজি। প্রতিবাদ করায় বদলির হুমকি দেওয়া হচ্ছে কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধানকে।’
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ও তৃণমূল বিধায়ক নির্মল মাজির বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম। রীতিমতো লিখিত বিবৃতি ইস্যু করে এই অভিযোগ করেছে তারা।
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সজল বিশ্বাস আরো বলেন, রাজ্যজুড়ে চিকিৎসকদের উপরে বদলির খাঁড়া নামিয়ে এনেছেন। তিনি যদিও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিক নন, তারপরও তাঁর অঙ্গুলি হেলনে এইসব কাজগুলি চলছে। বদলি নিয়ে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ চলছে।
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ভবানী চট্টোপাধ্যায় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা এবং মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি অবসরেরও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
সার্ভিস ডক্টরস ফোরামের পাশে দাঁড়িয়েছে, অ্যাসোসিয়েশন অফ হেলথ সার্ভিসেস ডক্টরসও। নির্মল মাজি যাঁকে বদলির হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ, সেই কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ভবানী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঘরের (বিভাগের) বিষয়ে জানিয়েছেন। তবে কী জনিয়েছেন, তা তিনি প্রকাশ্যে বলবেন না। কোনও মন্তব্যও করবেন না।
উল্টো দিকে কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন নির্মল মাজি। নির্মল মাজির কথায়, সার্ভিস ডক্টরস ফোরাম তো বিরোধী, অভিযোগ করবেই, সিপিএম-হার্মাদ। আর বিভাগীয় প্রধান পদত্যাগ করতে চেয়েছেন, কাজ করতে চাইছেন না, আসেন না, অনেক রোগী থাকা সত্ত্বেও, যিনি আসছেন না, তার জায়গায় তো অন্যকে জায়গা দিতেই হবে। বিতর্ক চরমে উঠলেও রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীর দাবি বিষয়টি নিয়ে তাঁর কিছুই জানা নেই।