দীপক ঘোষ, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও রাজীব চৌধুরী: বিজেপি নেতার ট্যুইট করা, রাহুল গান্ধীর ভিডিও নিয়ে, মঙ্গলবার দিনভর তোলপাড় চলল জাতীয় রাজনীতিতে। বিজেপি নেতা অমিত মালব্য, রাহুলের ভিডিও ট্যুইট করে লেখেন, মুম্বই যখন থমকে, দলে যখন বিস্ফোরণ, রাহুল গান্ধী তখন নাইটক্লাবে। জবাবে কংগ্রেস কটাক্ষের সুরে বলেছে, রাহুল কাঠমাণ্ডুতে গেছিলেন বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠানে। সেটাও কি অপরাধ? 


১২ সেকেন্ডের একটা ভিডিও। যাতে দেখা যাচ্ছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে। মঙ্গলবার সকাল থেকে, তা নিয়ে ঝড় তুলল বিজেপি! বিজেপি দাবি করল, রাহুল গাঁধী নাইটক্লাবে গেছিলেন।কংগ্রেস প্রশ্ন করল, এখন কি বন্ধুর বিয়েতে যাওয়াটাও অপরাধ? বিজেপি এবং কংগ্রেসের ট্যুইট-যুদ্ধে সরগরম হয়ে উঠল সোশাল মিডিয়া। মঙ্গলবার সকালে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান রাহুল গান্ধীর এই ভিডিও ট্যুইট করেন।


সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, মুম্বই যখন থমকে ছিল, তখন রাহুল গাঁধী নাইটক্লাবে ছিলেন। তাঁর দলের মধ্যে যখন বিস্ফোরণ, রাহুল গাঁধী তখন নাইটক্লাবে ছিলেন। তিনি ধারাবাহিক। ANI বাইট - শাহনওয়াজ হুসেন, মুখপাত্র, বিজেপি বিজেপির এই আক্রমণের জবাবে কংগ্রেস জানিয়েছে, এই ভিডিওটি নেপালের কাঠমাণ্ডুর। রাহুল গাঁধী সেখানে গেছেন বন্ধু সুমনিমা উদাসের বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে। যিনি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম CNN’র প্রাক্তন সাংবাদিক বর্তমানে নেপালের লুম্বিনি মিউজিয়ামের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। তাঁর বাবা প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত। কংগ্রেসের প্রশ্ন, বন্ধুর বিয়েতে যাওয়াও কি এবার বেআইনি ঘোষণা করবেন নরেন্দ্র মোদি?


কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, রণদীপ সুরজেওয়ালার কথায়, বন্ধুর বিয়েতে গেছেন রাহুল। মোদি সরকার কি বন্ধুর বিয়েতে যাওয়া বেআইনি ঘোষণা করেছে? না কি এবার করবে?কিন্তু, বিজেপি এই যুক্তি মানতে নারাজ! এই প্রসঙ্গে ২০১৫ সালে কাবুল থেকে ফেরার পথে নরেন্দ্র মোদির আচমকা নওয়াজ শরিফের নাতনির বিয়ের আগের দিন পাকিস্তানে চলে যাওয়ার প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা দিয়েছে কংগ্রেস।


কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার কথায়, মোদি যেভাবে বিনা নিমন্ত্রণে পাকিস্তানে গেছিলেন নওয়াজ শরিফের জন্মদিনে কেক কাটতে, রাহুল সেভাবে কোথাও যান না। বন্ধুর বিয়েতে যাওয়া কি অপরাধ? আজকের পর তাহলে মোদি এবং বিজেপি বিয়েতে যাওয়া বেআইনি ঘোষণা করে দিক।


যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি শ্রীনিবাস বি ভি আবার অটলবিহারী বাজপেয়ীর এই ছবি ট্যুইট করে লিখেছেন, একদা ভারতে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী, ভারতরত্ন অটলবিহারী বাজপেয়ীকে পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফের স্ত্রীর সঙ্গে পানীয় হাতে দেখা গেছিল। কিন্তু, তা নিয়ে কোনও বিতর্ক হয়নি। সেটা অন্য সময় ছিল। 


কংগ্রেস সাংসদ ও লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও এই ইস্যুতে রাহুল গান্ধীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি ট্যুইট করে বলেছেন, রাহুল গাঁধী কিংবা অন্য কেউ ব্যক্তিগত পরিসরে নাইটক্লাবে যাচ্ছেন, না বিয়ের অনুষ্ঠানে, তাতে কার কী? বিজেপির ট্রোলরা সেটাই করে যাক, যেটা তারা সবচেয়ে ভাল পারে।