কলকাতা : শোভন চট্টোপাধ্যায়, বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের আনুষ্ঠানিক প্রত্যাবর্তন। এদিন তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে অরূপ বিশ্বাস বলেন, দলে ফেরার আবেদন জানিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরছেন।সাংবাদিক সম্মেলন শেষের পর অভিষেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন শোভন-বৈশাখী।'
আরও পড়ুন, এবার ডানকুনিতে SIR আতঙ্কে মৃত্যুর অভিযোগ ! '৬০ বছর বয়সি হাসিনা বেগম চিন্তিত ছিলেন SIR নিয়ে..'
শোভন চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, 'আমার ধমনী, শিরায় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সঙ্গে আমার আত্মিক যোগাযোগ। আমার কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।আগামী দিনে যে দায়িত্ব দেবেন, আমি পালন করব। আমার চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখব না। আমার ঘরকে আরও বেশি করে সময় দিয়ে শক্তিশালী করব।' মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায়! একসময় ছিলেন তাঁর কিচেন ক্যাবিনেটের সদস্য! কলকাতার মেয়র এবং রাজ্য় সরকারের একাধিক দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে, বিজেপি প্রায় তৃণমূলের ঘাড়ের কাছে উঠে আসার পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। শুরু হয় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক! আর সেই দলে নাম লেখান শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ও। মেয়র-মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে, দিল্লিতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে নাম লেখান বিজেপিতে। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচারেও নামেন। কিন্তু, সেই নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসনের টার্গেট নিয়ে নেমেও, ৭৭-এই আটকে যায়। এরপর বিজেপির সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলের কোনও কর্মসূচিতে তাঁদের দেখা যায়নি। বরং কখনও ভাইফোঁটায় মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়িতে কখনও নবান্নে কখনও আবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে দেখা যায় শোভন-বৈশাখীকে। আপনি কি মনে করেন, ...৭ বছর আগে, যেভাবে আপনি মেয়র পদ ছেড়ে দিয়েছেন, একাধিক মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দিলেন, পরে দলটাই ছেড়ে দিলেন। পরে বিজেপিতে চলে গেলেন। এই গোটা পর্বটা আপনার জীবনে ভুল ছিল? এই প্রশ্নের উত্তরে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টিতে যাওয়াটা আমার সবচেয়ে বড় ভুল বলুন, অন্যায় বলুন এবং সেটা তো আমি প্রকাশ্যে আমার ভুলটা স্বীকার করেছি। ওটা হিমালয়ান ব্লান্ডার ছিল।
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)