কলকাতা: আজই ঘর ওয়াপসি শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ? আজই তৃণমূলে কামব্যাকের সম্ভাবনা শোভন চট্টোপাধ্যায়ের। বিকেল ৩ টে নাগাদ তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক। সেখানেই তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে পারবেন শোভন-বৈশাখী। গতকালই শোভন-বৈশাখীকে দলে যোগ দেওয়ার বার্তা পাঠানো হয়, খবর তৃণমূল সূত্রে। ইতিমধ্যেই এনকেডিএ চেয়ারম্যান পদে যোগ দিয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এবার ঘাসফুলে কাননের কামব্যাক ?
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে NKDA-র চেয়ারম্য়ান হন শোভন চট্টোপাধ্যায়। এবার কি সরকারিভাবে তৃণমূলে ঘরওয়াপসির পালা? এ নিয়ে জল্পনা এতদিন ধরে তুঙ্গেই ছিল। সরকারি পদ পাওয়ার পরেই বিজেপিতে যাওয়া হিমালয়ান ব্লান্ডার ছিল বলে মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল কলকাতার প্রাক্তন মেয়রকে। যদিও বিরোধীদের গলায় শোনা গিয়েছিল কটাক্ষের সুর।
বর্তমানে ফের রাজ্য় সরকারের প্রশাসনিক পদে কামব্য়াক হয়েছে। নিউটাউন-কলকাতা ডেভলপমেন্ট অথরিটি বা NKDA-র চেয়ারম্য়ান করা হয় শোভন চট্টোপাধ্য়ায়কে। NKDA এর চেয়ারম্যান পোস্ট পেয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন , রাজনীতি আর প্রশাসন নিয়ে আপনাদের অনেক প্রশ্ন আছে। সামনের দিন দেখবেন যে কী কী বিষয় ঘটতে চলেছে। ঘটতে চলবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে কেন খবর করতে যাবেন? এই যে নোটিফিকেশন বেরিয়েছে, আপনারা খবর করছেন। এটাই থাকুক না, এটাই তো ভাল। মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায়! একসময় ছিলেন তাঁর কিচেন ক্যাবিনেটের সদস্য! কলকাতার মেয়র এবং রাজ্য় সরকারের একাধিক দফতরের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। কিন্তু, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে, বিজেপি প্রায় তৃণমূলের ঘাড়ের কাছে উঠে আসার পর পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করে। শুরু হয় তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার হিড়িক! আর সেই দলে নাম লেখান শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ও। মেয়র-মন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে, দিল্লিতে গিয়ে বৈশাখী বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের সঙ্গে নাম লেখান বিজেপিতে। একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচারেও নামেন। কিন্তু, সেই নির্বাচনে বিজেপি ২০০ আসনের টার্গেট নিয়ে নেমেও, ৭৭-এই আটকে যায়। এরপর বিজেপির সঙ্গে শোভন-বৈশাখীর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলের কোনও কর্মসূচিতে তাঁদের দেখা যায়নি। বরং কখনও ভাইফোঁটায় মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়িতে কখনও নবান্নে কখনও আবার কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনে দেখা যায় শোভন-বৈশাখীকে।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন, ...৭ বছর আগে, যেভাবে আপনি মেয়র পদ ছেড়ে দিয়েছেন, একাধিক মন্ত্রিত্ব পদ ছেড়ে দিলেন, পরে দলটাই ছেড়ে দিলেন। পরে বিজেপিতে চলে গেলেন। এই গোটা পর্বটা আপনার জীবনে ভুল ছিল?
শোভন চট্টোপাধ্যায় : ভারতীয় জনতা পার্টিতে যাওয়াটা আমার সবচেয়ে বড় ভুল বলুন, অন্যায় বলুন এবং সেটা তো আমি প্রকাশ্যে আমার ভুলটা স্বীকার করেছি। ওটা হিমালয়ান ব্লান্ডার ছিল।