ব্যারাকপুর : ডিসেম্বর-হুঁশিয়ারি আছেই। 'ডিসেম্বর মাসে একটা বড় ডাকাত ভিতরে ঢুকবে', বলে দিনকয়েক আগেই হুঙ্কার ছেড়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। "টাইম আসছে গোটা তৃণমূল সরকার কাঁপবে। এই সরকারের আয়ু আর বেশিদিন নেই", বলে গত মাসে তৃণমূল সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন সুকান্ত মজুমদারও (Sukanta Majumdar)। সেই সুরেই তৃণমূলকে বিঁধলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি (BJP State President)। "যতক্ষণ প্রধানমন্ত্রী মোদি আছেন, ততক্ষণ কোনও চোর ছাড় পাবে না", বলে ব্যারাকপুরের সভা থেকে সুর চড়ালেন সুকান্ত মজুমদার।


সুকান্তর নিশানায় শাসক দল-


সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। নৈহাটি, জগদ্দল, ভাটপাড়া, কাঁকিনাড়ায় একের পর এক বোমা উদ্ধার হয়েছে। কাঁকিনাড়ায় বোমা ফেটে শিশুর মৃত্যুও হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগে আজ ব্যারাকপুর কমিশনারেট অভিযান নামে বিজেপি। সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে ব্যারাকপুর কমিশনারেট অভিযান চলে। সেখানের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে আগাগোড়া বিঁধলেন সুকান্ত মজুমদার। বললেন, "ভাটপাড়া এখন বোমার জন্য বিখ্যাত। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃণমূলের ৩০০ নেতা জেলে। কেউ সন্ত্রাস করে পার পাবে না। খেলা হবে দুপক্ষেই, ভয়ঙ্কর খেলা হবে। পুলিশ সরে গেলে ১৫ মিনিটে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে।"


শুধু তা-ই নয়, রাজ্য বিজেপির সভাপতির মুখে আরও একবার উঠে এসেছে ডিসেম্বর-তত্ত্ব। তিনি বলেন, "ডিসেম্বর এসেছে, সরকার কাঁপছে। ২০২৪-এ লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে হলে অবাক হবেন না।" এর পাশাপাশি অনুব্রতর ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়ে সুকান্ত বলেন, "একপক্ষের খেলা হবে না, ভয়ঙ্কর খেলা হবে।"


এদিকে সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। আজ সেই অভিযোগেই পুলিশকে একহাত নেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। "পুলিশ তৃণমূলের পিছনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মহিলাদের অপমান হলেও পুলিশ নীরব থাকছে। পুলিশ সরে গেলে ১৫ মিনিটে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে", বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়ে বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এখন বুঝতে পারছেন বিজেপি কী জিনিস। প্রধানমন্ত্রী ১১ লক্ষ ঘর পাঠিয়েছেন, তৃণমূল চুরির জন্য বসে আছে। এক একটা চোর ধরব, দিল্লিতে অভিযোগ করব।"


আরও পড়ুন ; 'ডিসেম্বর মাসে একটা বড় ডাকাত ভিতরে ঢুকবে', ফের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর