অরিত্রিক ভট্টাচার্য, সন্দেশখালি : এর আগে বিজেপি-সিপিএমকে আটকানো হয়েছিল। এবার সন্দেশখালি যাওয়ার পথে রামপুরে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে আটকে দিল পুলিশ। ধামাখালি থেকে নদীর পার হয়ে ৬ কিলোমিটার দূরে সন্দেশখালি। তার আগে রামপুরে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে আটকে দেওয়া হয়। কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে ? তা পুলিশের কাছে জানতে চান কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। কংগ্রেসের আরও একটা দলের দুপুর ৩টে নাগাদ সন্দেশখালিতে আসার কথা। হয়তো তাদেরও বাধা দেওয়া হবে বলে মনে করছে কংগ্রেস।


কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, "আমাদের আটকানো হয়েছে। আমরা নন্দীগ্রামে আন্দোলন করা মানুষ। নন্দীগ্রামে ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। আমাদের এভাবে আটকানো হত, মারা হত, গাড়ি ভাঙা হত। ঠিক তারই পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। আমরা এখানে থাকব। আমরা দেখব তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে পুলিশ অফিসার ঢুকতে দেন কি না। যদি ঢুকতে দেন, তাহলে এখানে খণ্ডযুদ্ধ হবে। যা হবে হবে। আমরা ছাড়ব না। আমরা এখানে বসে থাকছি।"


সন্দেশখালিতে যাওয়ার পথে এর আগে রামপুরে বিজেপির প্রতিনিধিদলকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। বসিরহাটের SDPO-র সঙ্গে বিজেপি নেতা-নেত্রীদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। আধঘণ্টা পর ফিরে যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। ধামাখালি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ব্যারিকেড তৈরি করে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতা-নেত্রীদের। গ্রামবাসীর বাড়ি ভাঙচুরের খবর পেয়ে এসেছি, আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা যাব। চারজন প্রতিনিধি যেতে চাইলে বাধা দিচ্ছেন কেন, প্রশ্ন তোলে বিজেপির প্রতিনিধিদল। ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। বিজেপি গেলে পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হতে পারে বলে দাবি করেন বসিরহাটের SDPO। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় মহিলা কমিশন ও আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার হুঁশিয়ারি দেয় বিজেপি। 


এরপর গতকাল বাসন্তী হাইওয়েতে ঢোকার মুখে আটকানো হয় বিজেপি বিধায়কদের বাস। ৬৭ জন বিজেপি বিধায়ককে নিয়ে সন্দেশখালির দিকে এগোচ্ছিল বিজেপির বাস। কিন্তু তা আটকানো হয় কলকাতাতেই । 


ওইদিন সকালেই সন্দেশখালি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভার অধিবেশন। অধিবেশন কক্ষের মাটিতেই বসে পড়েন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভা থেকে ওয়াক আউটও করেন তাঁরা। এরপর শুভেন্দু-সহ সাসপেন্ড ৬ বিধায়ককে সাসপেন্ডও করা হয়।


বিজেপির পর সিপিএমের সন্দেশখালি অভিযানেও বাধা দেয় পুলিশ। ন্যাজাট ফেরিঘাটেই আটকে দেওয়া হয় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়দের। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি, বচসা চলে। ওঠে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে বচসা জড়ান সিপিএম নেতা-কর্মীরা।