ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, হিঙ্গলগঞ্জ : আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। এই পরিস্থিতিতে হিঙ্গলগঞ্জে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের দেওয়া হল দুর্যোগ মোকাবিলার বিশেষ প্রশিক্ষণ। প্রশাসনের তরফে খতিয়ে দেখা হয় নদীবাঁধ পরিস্থিতি।
বৃষ্টির জল বাড়লেই ভেঙে পড়ে নদীবাঁধ। হুহু করে জল ঢুকতে থাকে গ্রামে। ভাসিয়ে নিয়ে যায় একের পর এক বাড়ি, চাষের জমি। সহায়-সম্বলটুকু আঁকড়ে বাঁধের ওপর আশ্রয় নিতে হয় বাসিন্দাদের। দুর্যোগের এই ছবিগুলো উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ কিংবা সন্দেশখালির মানুষের কাছে খুবই চেনা। এবার তাই, অশনি-সতর্কতার মধ্যেই, তাঁদের হাতে কলমে দেওয়া হল দুর্যোগ মোকাবিলার ট্রেনিং।
ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস পেয়ে, আগেভাগে সতর্ক উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। বুধবার এলাকার নদীবাঁধ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।
অশনির আশঙ্কায় হিঙ্গলগঞ্জে বৃহস্পতিবারও জারি থাকবে সতর্কতা। মত্স্যজীবী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নদীতে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।
অন্ধ্রপ্রদেশের আরও কাছে অশনি। তবে, সমুদ্রে শক্তি খুইয়ে সে এখন অনেকটাই দুর্বল। ইতিমধ্যেই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ে। বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে, তা পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপে। বুধবার সকালেই উত্তর-পূর্ব অভিমুখে বাঁক নেয় অশনি। সন্ধেয় পৌঁছয় অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূলে।
তবে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েনি এরাজ্যে। সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের আকাশ ছিল মেঘলা। বেলা গড়াতেই দক্ষিণবঙ্গে একাধিক জেলায় শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অশনি-র প্রভাবে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। উপকূলের জেলাগুলিতে ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের ওপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না থাকলেও, বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার পর্যন্ত মত্স্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যেহেতু আজ থেকেই রাজ্যের ওপরে স্ট্রং নিম্নচাপ, জোরাল বাতাস আসছে, এটা আরও বাড়বে। প্রচুর ময়েশ্চার উত্তরবঙ্গে পৌঁছবে। তাই সব জেলায় ১১-১৫ ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি। কোথায় ভারী, কোথাও মাঝারি বৃষ্টি। বৃষ্টি বেশি আলিপুরদুয়ারে।