বাঁকুড়া : বেলাগাম আলুর দাম। তৃণমূলকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের। "তৃণমূল নেতাদের ধরে পেট্রোল দিয়ে দিন, দেখবেন কেমন দৌড়বে।" বাঁকুড়ার সভা থেকে মন্তব্য দিলীপের। পাশাপাশি পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়েও যুক্তি দিলেন বিজেপি নেতা।


কলকাতার বাজারগুলিতে জ্যোতি আলুর দাম বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গেছে ৩০ টাকা প্রতি কেজি। আর চন্দ্রমুখী আলুর দাম তো হাফ সেঞ্চুরির দিকে এগোচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল যখন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে পেট্রোল-ডিজেল-রান্নার গ্যাসের চড়া দাম নিয়ে সরব, তখন বিজেপির হাতিয়ার আলুর ভয়ঙ্কর দাম!


এনিয়ে বাঁকুড়ার সভা থেকে সরব হলেন দিলীপ। তিনি বলেন, "১৫-২০ টাকা থেকে এখন ৩৫-৪০ টাকা। আলু কি ইউক্রেন থেকে আসছে না রাশিয়া থেকে আসছে ? দ্বিগুণ কেন হল ? ৯০ টাকার পেট্রোল যদি ১০০-১১৫ টাকা হয়, তাহলে কত দাম বাড়ল ? ২০-২৫ শতাংশ বেড়েছে। আর আলু ? ১৮ টাকার আলু ৩৬ টাকা হয়েছে। ১০০ শতাংশ বেড়েছে। আলু তো সবাই খায়। পেট্রোল কেউ খায় নাকি ? নেতাদের ধরে একটু একটু পেট্রোল দিয়ে দিন, কেমন দৌড় মারবে দেখুন। আমরা ছোটবেলায় গরমে কুকুরের পেছনে পেট্রোল দিতাম। কেমন দৌড় মারে। তৃণমূল নেতাদের ধরে পেট্রোল দিয়ে দিন, দেখবেন কেমন দৌড়বে। তোমাদের কোনও যোগ্যতা নেই। পেট্রোল ছেড়ে দাও, আলুর দাম কমাতে পারছ না।"


এদিকে, আলুর দাম নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ট্যুইটে খোঁচা দিতে দেরি করেননি রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি তথাগত রায়। তাতে তিনি লিখেছেন, বাঁকুড়ার মাচানতলায় দিলীপ ঘোষ কি বলেছেন তৃণমূল নেতাদের পিছনে পেট্রোল দিয়ে দিতে ? ছোটবেলায় নাকি ওঁরা কুকুরের পিছনে ওইরকম করতেন ! আজকে ওঁর কথা শুনে যদি তৃণমূলের বদমাইশরা বিজেপি কর্মীদের ওইরকম করে ! উনি তো সিকিউরিটি পরিবৃত হয়ে থাকেন ! কিন্তু সাধারণ কর্মীদের কী হবে ? তথাগত রায় আরও লেখেন, পুলিশ তো চুপ করে থাকবে! ভেবেছিলাম আর কিছু বলব না, কিন্তু বলতেই হল। এইসব কথা লোকে কোনও অঞ্চল নেতার কাছ থেকে কষ্টেসৃষ্টে নিতে পারে। কিন্তু বিজেপির এক সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির কাছ থেকে! মুখে যদি লাগাম পরানো না যায়, তাহলে মমতাকে বারমুডা পরাবার মতোই পরিণতি হবে!