সমীরণ পাল, সোদপুর : সোদপুর স্টেশনের কাছে ট্রেনের ধাক্কায় দুই জনের মৃত্যু হল। হাটেবাজারে এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় দুই মহিলার ! এঁদের মধ্যে একজনের দেহ মেলে সোদপুরে, আরেক জনের দেহ উদ্ধার হয় নৈহাটি থেকে ! শিয়ালদা থেকে বিহারের সহর্সা যাচ্ছিল হাটেবাজারে এক্সপ্রেস। সেই সময় সোদপুর স্টেশনের আগে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে বলে খবর। এখনও পর্যন্ত ওই দুই মহিলার পরিচয় জানা যায়নি বলে রেল পুলিশ সূত্রের খবর।
কীভাবে ঘটে ঘটনাটি ?
আজ সন্ধেয় সোদপুর স্টেশনের আগে রেলগেটের কাছে আপ হাটেবাজারে এক্সপ্রেস যখন যাচ্ছিল, সেই সময় দুই মহিলা রেললাইন পার হচ্ছিলেন। সেই সময় হাটেবাজারে এক্সপ্রেস তাঁদের ধাক্কা মারে বলে খবর। ট্রেনের ধাক্কায় একজন ছিটকে পড়ে যান। তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে রেললাইনের পাশ থেকে। অপর একজনের দেহ নৈহাটি স্টেশনের কাছে পাওয়া গেছে বলে জিআরপি সূত্রের খবর।অর্থাৎ, ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে যায় তাঁর দেহটি। নৈহাটি স্টেশনের কাছ থেকে সেই দেহ উদ্ধার হয়।
বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা
দিনকয়েক আগে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড লাইনে ফাটল দেখা দেয়। হঠাৎ বিকট শব্দ শোনা যায়। ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন। বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বেঙ্গালুরু-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস।
রেল সূত্রে জানা যায়, বেলমুড়ি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় লাইনে ফাটল দেখা যায়। ১২৫০৯ আপ ব্যাঙ্গালোর গুয়াহাটি এক্সপ্রেস হাওড়া বর্ধমান কর্ড লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় বেলমুড়ি রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় একটি বিকট শব্দ হয়। তারপরেই ট্রেনটি ঝাঁকুনি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। গেট ম্যান গিয়ে দেখেন লাইনে ফাটল রয়েছে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে স্টেশনে খবর দেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই রেলকর্মীরা এসে ফাটল মেরামতি কাজ শুরু করেন। এক ঘণ্টা পর এক্সপ্রেস ট্রেনটি পুনরায় গন্তব্যের দিকে রওনা দেয়।
গত মাসে দক্ষিণ-পূর্ব রেলে হাওড়ার পদ্মপুকুর স্টেশনের কাছে সাঁতরাগাছি-তিরুপতি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসে রেলের পার্সেল ভ্যানের ধাক্কা মারে। লাইনচ্যুত হয় তিরুপতি এক্সপ্রেসের ২টি বগি। পার্সেল ভ্যানেরও একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এর জেরে সাঁতরাগাছি-শালিমার লাইনে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়। নন-ইন্টারলকিং সিগন্যাল পয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আপ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস ও আপ তিরুপতি-সাঁতরাগাছি সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের সময় সূচি বদল করা হয়। ২৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ পদ্মপুকুর স্টেশনের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। সাঁতরাগাছি থেকে শালিমারে রেল ইয়ার্ডের দিকে যাচ্ছিল ফাঁকা তিরুপতি এক্সপ্রেস। পাশের লাইন দিয়ে যাচ্ছিল রেলের পার্সেল ভ্যান। ক্রসিং পেরোনোর সময় দুটি ট্রেনের পাশাপাশি সংঘর্ষ হয়। লাইনচ্যুত হয় তিরুপতি এক্সপ্রেসের ৫ ও ৬ নম্বর বগি। দুটি ট্রেনই ধীর গতিতে চলায়, যাত্রী না থাকায়, বড়সড় দুর্ঘটনা হয়নি।