সুদীপ্ত আচার্য, সঞ্চয়ন মিত্র, বিধাননগর : বিধাননগরে ভোট হচ্ছে ৪১টি ওয়ার্ডে। পুলিশ সূত্রে খবর, নিরাপত্তার স্বার্থে গোটা বিধানগর পুর-এলাকাকে ৪৮টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। মোতায়েন সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ। এরই মধ্যে একাধিক বুথ থেকে উত্তেজনা ও নিয়মভঙ্গের অভিযোগ উঠে আসছে। সকালথেকেই সরগরম বিধাননগর ভোট । বাইরে থেকে ঢুকে পড়ছে ভুয়ো ভোটার। এই ধরনের অভিযোগ একাধিক এসেছে বিধাননগরের বিভিন্ন বুথ থেকে। এবিপি আনন্দ-র প্রতিনিধর ক্যামেরাতে ধরা পড়ল এক ভোটারের পরিচয়-বিভ্রাটের চিত্র।
বিধাননগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের চঞ্চলকুমারী বালিকা বিদ্যালয়ের বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক যুবক। হাতে ভোটার স্লিপ। এবিপি আনন্দ-র প্রতিনিধি তাঁকে নাম জিজ্ঞাসা করতেই তিনি নিজের নাম বলেন , রঞ্জিত দাস। কিন্তু কী আশ্চর্য ! তাঁর ভোটার স্লিপে নাম এক, মুখে নাম আলাদা। ভোটার স্লিপে তাঁর নাম, দেবাশিস ঘোষ। তাহলে তিনি রঞ্জিত না দেবাশিস। তিনি দাস না ঘোষ। প্রশ্ন করায় নিজেকে একইসঙ্গে রঞ্জিত দাস ও দেবাশিস ঘোষ বলে পরিচয় দিলেন ! প্রশ্ন করতেই ফাঁপরে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। আমতা-আমতা করে প্রায় একরকম পালিয়েই যান ভুয়ো ভোটার ! স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের দাবি, ওই ব্যক্তি বুথ কোথায় জানতে চাওয়ায় তাঁরা শুধু দেখিয়ে দিয়েছেন !
সল্টলেকের বিএফ কমিউনিটি হলের বুথে ভুয়ো ভোটার ধরার দাবি বিধাননগরের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস জানার। এ নিয়ে উত্তেজনা। পরিচয় জিজ্ঞাসা করায় দৌড়ে পালান ওই ব্যক্তি।
বিধাননগরের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডেও বহিরাগত-অভিযোগ। বিজেপি প্রার্থী পিয়ালি বসুর অভিযোগ, ১৮৫ নম্বর বুথে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র স্কুলের পিছনের গেট দিয়ে বহিরাগতদের ঢোকানো হচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় তৃণমূল প্রার্থীর এজেন্টরা তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর।বিষয়টি প্রিসাইডিং অফিসারকে জানানোর পর স্কুলের পিছনের গেটে তালা লাগানো হয় বলে দাবি বিজেপি প্রার্থীর।