সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা ও মুর্শিদাবাদ: ফের সীমান্তে বড় সাফল্য বিএসএফ-র (BSF)। বিএসএফ জওয়ানদের হাতে পাকড়াও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেনসিডিলের বোতল-সহ পাচারকারী। উদ্ধার বিপুল পরিমাণে গাঁজাও।


জানা গিয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি  দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন সীমা চৌকি তারালি ১১২ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১০০ বোতল ফেনসিডিল এবং ৫৭ বোতল মদ-সহ এক পাচারকারীকে ধরেছে। ধৃত পাচারকারীর পরিচয় সুদীপ মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনা বলে জানা গিয়েছে।জিজ্ঞাসাবাদে পাচারকারী জানায়, এই ফেনসিডিল তাকে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের একজন দিয়েছিল। এরপর সে ওই সামগ্রী বাংলাদেশি পাচারকারীর হাতে তুলে দিতে যাচ্ছিল।


অন্যান্য ঘটনায় সীমা চৌকি নাটনা, ৮৪ ব্যাটালিয়ন, সীমা চৌকি সোলক, ১০৭ ব্যাটালিয়ন, সীমা চৌকি ডোবারপাড়া, ০৫ ব্যাটালিয়নের জোয়ানরা বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা থেকে মোট ১৯০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করেছে। এছাড়া সীমা চৌকি মেঘনা, ১৪৬ ব্যাটালিয়ন, সীমা চৌকি আমুদিয়া, ১১২ ব্যাটালিয়নের জোয়ানরা ২১.২৪ কেজি গাঁজা জব্দ করেছে। জব্দকৃত সমস্ত মদ ও ফেনসিডিলের বোতলের মূল্য আনুমানিক ৭২,৫৯৯ টাকা গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী ও জব্দকৃত মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের মুখপাত্র বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চোরাচালান বন্ধে সীমান্তে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার কারণে চোরাচালানের সঙ্গে জড়িতরা বেশ অসুবিধায় পড়ছে এবং কেউ কেউ ধরা পড়ছে। ওই কর্মকর্তা কঠোর ভাষায় বলেন, সীমান্তে কোনও অবস্থাতেই চোরাচালান হতে দেবেন না।


প্রসঙ্গত, এর আগে গাঁজা পাচারের বড়সড় ছক ভেস্তে দিয়েছিল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের এসওজি ও কোতোয়ালি থানা। সঙ্গে উদ্ধার প্রায় ৩ কুইন্টাল গাঁজা। তিস্তা সেতু সংলগ্ন বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর ঘটনাটি ঘটেছিল। গ্রেফতার হয়েছিল দুই যুবক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জেলা পুলিশের এসওজি পুলিশ অফিসার সঞ্জু বর্মনের নেতৃত্বে নজরদারি শুরু করা হয়েছিল। হঠাতই বিবেকানন্দ পল্লি এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর একটি পেট্রল-ডিজেলের ট্যাঙ্কার দেখে সন্দেহ হয়েছিল তাদের। সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করেছিল জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের এসওজি ও কোতোয়ালি থানা। তার পরই দেখা যায়, ওই ট্যাঙ্কারের ভিতর সারি সারি করে সাজানো রয়েছে গাঁজার প্যাকেট। যার আনুমানিক মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা।


আরও পড়ুন, কুয়াশায় আবছা হবে ছুটির সকাল ? কেমন থাকবে রবিবারের আবহাওয়া ?


ওই ঘটনায় জিতেন্দ্র ওঝা ও বিজয় শঙ্কর নামে দুজনকে ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, ধৃতরা জেরায় জানিয়েছেন, অসম থেকে গাঁজা তোলা হয়েছিল। গন্তব্য ছিল কলকাতা। পুলিশের নজর এড়াতে পেট্রল-ডিজেলের ট্যাঙ্কারের আড়ালে সাজিয়ে রাখা হয় প্যাকেটগুলি। যে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেটি নাগাল্যান্ডের। ধৃত ২ জনই হাওড়ার বাসিন্দা।