সমীরণ পাল,উত্তর ২৪ পরগনা: শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষিকার অমানবিক মুখ। স্কুলে ক্লাসে শিস দেওয়ার অপরাধে ৭ জন ছাত্রকে মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে (Dakshineswar  Ariadaha School)। আতঙ্কিত ছাত্ররা। প্রধান শিক্ষিকার এই অমানবিকতায় সরব হয়েছেন অভিভাবকেরা।


  ক্লাসে শিস দেওয়ার অপরাধে ৭ জন ছাত্রের চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে


দক্ষিণেশ্বর আরিয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলে নবম শ্রেণীর ভৌত বিজ্ঞানের ক্লাস চলাকালীন ক্লাসের মধ্যে শিস দেওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই সময় ক্লাসের যিনি শিক্ষিকা ছিলেন তিনি জানতে চান, কোন ছাত্র এই শিসের  আওয়াজ দিয়েছে ? তারপর সন্দেহবশত ৭ জন ছাত্রকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ঘরে নিয়ে যায়। ওই ক্লাস শিক্ষিকা,প্রধান শিক্ষিকা জানতে চান যে, কোন ছাত্র শিস দিয়েছে ক্লাসে ? তারপর সন্দেহের বশে ওই ৭ জন ছাত্রকে প্রধান শিক্ষিকা নিজের হাতে কাঁচি দিয়ে মাথার চুল কেটে দেন বলে এমনটাই অভিযোগ আলমবাজার এলাকার ছাত্রের পরিবারের লোকজনদের। এই ধরনের ঘটনা আরও একবার শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষিকার অমানবিক মুখ প্রমাণ করে দিল। এই ঘটনার পর থেকে যে সমস্ত ছাত্রদের মাথার চুল কেটে দিয়েছে প্রধান শিক্ষিকা, সে সমস্ত ছাত্র যথেষ্ট আতঙ্কিত ও ভীত।


প্রধান শিক্ষিকার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আতঙ্কিত ছাত্রদের পরিবারের লোকজন


ছাত্রদের অভিভাবকরা একটাই দাবি জানাচ্ছেন, শাস্তি অনেক হতে পারে। কিন্তু এই ধরনের শাস্তি তাঁরা কোনওভাবে মন থেকে মেনে নিতে পারছে না। তাই প্রধান শিক্ষিকার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আতঙ্কিত ছাত্রদের পরিবারের লোকজন।দক্ষিণেশ্বর আরিয়াদহ কালাচাঁদ স্কুলের ছাত্রদের চুল কাটার ঘটনায় প্রধান শিক্ষিকা  সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু স্কুলের পরিচালন কমিটির সদস্য জানিয়েছেন আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ছাত্রদের ওপর কোনও অত্যাচার করা যায় না। যে কোনও উদ্দেশ্যেই ছাত্রদের চুল কাটার ঘটনা যথেষ্টই নিন্দনীয়l এনিয়ে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।