সমীরণ পাল,উত্তর ২৪ পরগনা: বাঁশ বাগানের ভিতর ওটা কী? কাছে যেতেই চোখ কপালে উঠে গিয়েছিল একদল স্থানীয় যুবকের। এ যে সাপ (snake)! দেখে চিৎকার করে ওঠেন তাঁরা। আওয়াজ শুনেই তড়িঘড়ি ছুটে আসেন এলাকার মানুষ। সন্ধের অন্ধকারের মধ্যে আলো জ্বালিয়ে প্রায় ১৫ ফুটের পাইথনটিকে (python) ধরা হয়। হাবরার (habra) পৃথিবা গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণকাটি এলাকা থেকে দৈত্যাকার সাপ উদ্ধারের ঘটনা ঘিরে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আশপাশের অঞ্চলেও। 


কী হয়েছিল?     
গায়ে চকরা-বকরা দাগ। যে ভাবে বাঁশ বাগানের ভিতর সে পড়েছিল, তাতে হয়তো অনেকের নজরেও আসত না। কিন্তু ওই চকরা-বকরা দাগই দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিন বন্ধুর। কৌতূহলের বশে কাছে যান তাঁরা। তার পরই চিল-চিৎকার। দৈত্যাকার সাপের খোঁজ মিলেছে শুনে তাকে দেখতে ভিড় জমান আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যেখান থেকে পাইথনটির দেখা মিলেছিল, সেই এলাকা একসময়ে দড়ি দিয়ে ঘিরেও দেওয়া হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছুটে আসে হাবরা থানার পুলিশ। অন্য দিকে খবর যায় বন দফতরে। যদিও এলাকার উত্তেজনার আঁচ বাঁচিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশই। পরে সেটি বন দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হয়।


দৈত্যাকার সাপ আগে লোকালয়ে...
মনুষ্যবসতির আশপাশ থেকে দৈত্যাকার সাপের হদিশ আগেও মিলেছে। যেমন গত জুলাইয়েই ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুর ২ নম্বর ব্লকের বেলিয়াবেড়া থানার কুঠিঘাটে দীপক নায়েক নামে এক গৃহস্থের বাগানে ঢোকার চেষ্টা করছিল একটি অজগর। বাগানের চার দিক মোটা জাল দিয়ে ঘেরা থাকায় সেখানেই আটকে যায় সাপটি। কিন্তু তা না হলে কী হত ভেবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন নায়েক পরিবারের সদস্যরা। অন্তত সাত ফুট লম্বা অজগরটি কী ভাবে কুঠিঘাটের ওই বসতি এলাকায় চলে এল,সেটা নিয়েও ধাঁধা তৈরি হয়। ঘটনার দিন বাগানের দিক থেকে সন্দেহজনক নড়াচড়া টের পেয়ে কাছ যেতেই সাপ দেখতে পান দীপকের পরিবারের এক সদস্য। তড়িঘড়ি পাড়াপড়শিদের খবর দেন তিনি। দ্রুত খবর যায় বন দফতরে। অবশ্য সেখান থেকে কোনও সাহায্য পৌঁছনোর আগেই অজগর দেখতে কয়েকশো মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল গৃহস্থের বাড়ির সামনে। তার মধ্যে থেকেই সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বনকর্মীরা। সেটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানায় ছেড়ে দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন:'কার সিবিআই দেখার দরকার নেই, পাবলিকের টাকায় চলছে, আমি বিচার না পেলে বলতে পারব না?' আরও আক্রমণাত্মক দিলীপ ঘোষ