সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: ফের চোরাচালানের সোনা (Gold Recovery) বাজেয়াপ্ত করলেন বিএসএফ জওয়ানরা (BSF Jawans)। গত কাল দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের ৮ নম্বর ব্যাটালিয়ানের সীমা চৌকি রামনগরের জওয়ানরা সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এক জনকে আটক করেন। সূত্রের খবর, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ৩টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। বিস্কুটগুলির মোট ওজন ৩৪৯.৯ গ্রাম, আনুমানিক বাজারদর ২১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা।


কী জানা গেল?
প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, এক সোনা পাচারকারী যে কৃষকের ছদ্মবেশে সোনা পাচার করছেন সেই খবর পেয়েছিলেন বিএসএফ জওয়ানরা। এর পরই জওয়ানরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় নজরদারি বাড়িয়ে দেয়। তখনই এক কৃষককে তাঁর চাষের জমিতে যেতে দেখেন তাঁরা। প্রথমে জমিটির চারদিক ঘিরে ফেলা হয়। এটা দেখে ভয় পেয়ে সেখানেই কিছু জিনিস ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি, দাবি বিএসএফের। তখনই তাঁকে আটক করা হয়। জওয়ানরা এলাকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করলে ঘটনাস্থল থেকে ৩টি সোনার বিস্কুট মেলে বলে খবর।  এর পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসা হয়। জানা যায়, ধৃতের নাম শামিন ধাবক। তিনি নদিয়ার বাসিন্দা বলে জানা যায়। সূত্রের খবর,  জিজ্ঞাসাবাদে শামিন জানিয়েছেন, রামনগরেরই এক বাসিন্দা তাঁকে বলেছিলেন, মতিউর রহমান নামে বাংলাদেশের এক নাগরিক তাঁকে সোনার বিস্কুট দেবেন। সেই সোনার ডেলিভারি ঠিকঠাক হলে তাঁকে অনেক টাকা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই বিএসএফ জওয়ানরা তার পরিকল্পনা ভেস্তে দেন। উদ্ধার হওয়া সোনা আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য মাজদিয়ার শুল্ক বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। 


দিনদুয়েক আগে উদ্ধার সোনা...
দিনদুয়েক আগে ২৫টি সোনার বিস্কুট-সহ এক পাচারকারীকে ধরা হয়। বাজেয়াপ্ত করা সোনার বিস্কুটগুলির মোট ওজন ২৯১৪ গ্রাম। সূত্রের খবর, এর আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকারও বেশি। সূত্রের খবর, একটি বিশেষ সূত্রে সোনা পাচারের খবর মেলে। তারপরেই ওই এলাকায় পৌঁছে যান কর্তব্যরত জওয়ানরা। সীমান্তের রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেন জওয়ানরা। তাঁকে ধরে তল্লাশি করতেই তাঁর কোমরে বাঁধা অবস্থায় ২৫টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। তাঁকে নিয়ে আসা হয় চৌকিতে। বিএসএফ সূত্রের খবর, ধৃতের নাম আমির মন্ডল। উল্লেখ্য, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের সোনা চোরাচালানের বিষয়ে তথ্য জানা থাকলে, বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করে জানানোর আহ্বান জানিয়েছে।  এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭  জারি করেছে , যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে।  সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে খবর।


আরও পড়ুন:ভিটামিন সি-তে ভরপুর লিচু, ভাল রাখে লিভার, সমাধান করে আরও অনেক সমস্যার