সন্দেশখালি: '৬ ফেব্রুয়ারির আগে আমরা কোনও অভিযোগ পাইনি। সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখছি', সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) ঘটনায় শিবু হাজরা এবং উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা যুক্ত হওয়ার পর বললেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার (DGP Rajeev Kumar)। আরও জানালেন, সন্দেশখালির প্রত্যেক মহিলার সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। সমস্ত রকম অভিযোগই যে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, সে আশ্বাসও দেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। বলেন, 'আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে একজন মহিলা অভিযোগ করেছেন। আমরা যেরকম অভিযোগ পাব, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।'
আর যা...
'সন্দেশখালিতে স্বাভাবিক জীবন ফিরে আসুক, এটাই চাই', শনিবার এই বার্তাও দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের প্রধান। বললেন, 'সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে এলাকাভিত্তিক পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' তবে
কোনও ধরনের অভিযোগ পেলে তা যে যুক্ত করা হবে, সে কথাও মনে করান তিনি। শনিবার বসিরহাটের SP-র মুখেও শোনা গিয়েছে, 'সন্দেশখালি এখন শান্ত। কেউ অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলে ব্য়বস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ কিছু লুকোনোর চেষ্টা করেনি।' তাঁর আরও দাবি, 'গত সাত-দশ দিন ধরে সন্দেশখালি এলাকায় বিভিন্ন বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলায়াখালিতে পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ বিভিন্ন মামলা রুজুর করে তদন্তও শুরু করে।' তবে গত ৭ দিনের আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা সন্দেশখালিতে হয়নি, সংযোজন তাঁর।
দিনপাঁচেক আগে সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশই দাবি করেছিল, এই পর্যন্ত যে ৪টি লিখিত অভিযোগ এসেছে, তার একটিতেও ধর্ষণের অভিযোগ নেই। তবে কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে মহিলাদের নির্ভয়ে তা জানানোর আহ্বান জানান পুলিশকর্তারা। বারাসাত রেঞ্জের ডিআইজি সুমিত কুমার আবার বলেছিলেন, 'সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে। আর কোনও খামতি করা যাবে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।' সেদিনই সন্দেশখালি গিয়ে সেখানকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্য মহিলা কমিশনের সদস্যরা। কিন্তু পুলিশের দাবি আর সন্দেশখালির প্রতিবাদীদের একাংশের বক্তব্য মিলছে না বলে সেদিনই অভিযোগ তোলে নানা মহল। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বিক্ষোভকারী মহিলাদের কেউ কেউ যেমন প্রশ্ন তোলেন, 'পুলিশই তো অত্যাচার করছে, কী ভাবে ভরসা করব?' আর এক জনের বক্তব্য, 'জনগণের জন্য ১৪৪, আর সন্ত্রাসবাদীদের জন্য কী?...রাজ্য প্রশাসন পুরো কাঠের পুতুল।'