কলকাতা: বাংলাদেশের ভোটার লিস্ট আলোরানী সরকারের নাম রয়েছে, তাই আলোরানী সরকার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করতে পারেননা। বনগাঁ দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের দায়ের ইলেকশন পিটিশন খারিজ করল আদালত। আবেদন খারিজ করেছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।  


নির্দেশ খারিজ করে জানানো হয়েছে, ‘বাংলাদেশের ভোটার লিস্টে নাম রয়েছে আলোরানি সরকারের। তাই নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না আলোরানি। নাগরিকত্বের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে পদক্ষেপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের কাছে ২০০৪ ভোটে পরাজিত হন আলো রানী মজুমদার। তারপরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। 


বিজেপির জয়ী প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি। সেই মামলার শুনানিতেই আদালতে স্বপন মজুমদারের আইনজীবী জানান, আলোরানি বাংলাদেশের নাগরিক। পর্যবেক্ষমের পর বিচারপতি জানান, দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকলে কোনও ব্যক্তি নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করতে পারেন না। এটা বেআইনি। 


ডিএ মেটাতে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে রায়: অন্যদিকে ৩ মাসের মধ্যে কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মেটাতে হবে। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে এই রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ডিএ কর্মীদের মৌলিক ও আইনত অধিকার। মহার্ঘভাতা নিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট যে রায় দিয়েছে তা ৩ মাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে।


আজ ডিএ মামলার রায় ঘোষণা হয় হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বকেয়া ৩২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে ২০১৬ সালে মামলা হয়। মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষপর্যন্ত স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলে। এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলাতেই আজ রায় দেয় ।