সমীরণ পাল, বনগাঁ: স্বাধীনতার ৭৫ বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হল ভারত বাংলাদেশ পেট্রাপোল সীমান্তের 'নো ম্যানস ল্যান্ড'- এ৷ বিএসএফের ১৭৯ নম্বর ব্যাটেলিয়ানের পক্ষ থেকে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফের আধিকারিকরা এবং দু'দেশের বহু সাধারণ মানুষ৷
তবে শুধু ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেই নয়, স্বাধীনতা দিবসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সৌহার্দ্যের ছবি ধরা পড়ল । জম্মু কাশ্মীরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত ও আর এস পুরায় বিএসএফ জওয়ান ও পাক রেঞ্জার্সের মিষ্টি বিনিময় চলে। অন্যদিকে, সিয়াচেনে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপন করছেন ITBP জওয়ানরা। সিকিমে ১৮ হাজার ৮০০ ফুট উচ্চতায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তাঁরা। উত্তরাখণ্ডে সাড়ে ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায় ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করা হয়। অরুণাচলের তাওয়াং ও লাদাখে প্যাংগং লেকের ধারে জাতীয় পতাকা নিয়ে প্রভাতফেরি করেন ITBP জওয়ানরা।
আরও পড়ুন, স্বাধীনতার হীরক জয়ন্তীতে শতবর্ষের পঞ্চ সংকল্প, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই’; এক নজরে মোদির বার্তা
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে আজাদি কি অমৃত মহোত্সব। ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকায় সেজে উঠেছে গোটা দেশ। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে দিল্লি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা। রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থলে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর লালকেল্লায় যান প্রধানমন্ত্রী। তাঁকে স্বাগত জানান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। লালকেল্লায় প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় পতাকা উত্তোলন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার দেশীয় কামান থেকে ২১ বার তোপধ্বনি করা হয়।
এদিকে, দু’ বছর পর সাধারণ দর্শকের উপস্থিতিতে রেড রোডে উদযাপিত হয় স্বাধীনতা দিবস। পুলিশ মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।