সমীরণ পাল, ঠাকুরনগর: অবশেষে দীর্ঘ দিনের লড়াইয়ের অবসান হল। নাগরিকত্ব পেলেন ঠাকুরনগরের একজন মতুয়া গৃহবধূ। ওই গৃহবধূর নাম নাম শান্তিলতা বিশ্বাস। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার ঠাকুরনগর বড়াকৃষ্ণনগরের বাসিন্দা। প্রায় দেড় মাস আগে তারক বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী শান্তিলতা বিশ্বাস নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করেছিলেন। শান্তিলতা গতকাল নাগরিকত্ব পেলেও তাঁর স্বামী তারক বিশ্বাস এখনও পাননি। তবে তিনিও খুব তাড়াতাড়ি শংসাপত্র পেয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
ওই পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা তারক বিশ্বাস ১৬-১৭ বছর বয়সে বাংলাদেশ থেকে অত্যাচারিত হয়ে পালিয়ে ভারতে চলে আসেন। তাঁর স্ত্রী শান্তিলতাও বাংলাদেশের যশোরের বাসিন্দা ছিলেন। তিনিও পরিবারের সঙ্গে অত্যাচারিত হয়ে ভারতে পালিয়ে চলে আসেন দীর্ঘদিন আগে। ভারতে আসার পর তাঁদের দুজনের বিয়ে হয়। কিন্তু, দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও মেলেনি নাগরিকত্ব। অবশেষে বুধবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়ে অত্যন্ত খুশি তিনি।
এপ্রসঙ্গে শান্তিলতা দেবী জানান, এখানকার নাগরিকত্বের জন্য তিনি ভারতীয় ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, জমির দলিল সহ বাংলাদেশের মাধ্যমিক পাশের স্কুল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী তারক বিশ্বাসও ভারতীয় সমস্ত কাগজপত্রের পাশাপাশি বাংলাদেশের জমির দলিলের নথি জমা দিয়েছিলেন। বুধবার তার ভিত্তিতে নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেলেন শান্তিলতা বিশ্বাস।
ওই দম্পতির দাবি, দেড়মাস আগে নাগরিকত্বের জন্য কাগজপত্র জমা দেওয়ার পর তাঁদের কোনও ধরনের সুবিধাই বন্ধ হয়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র পেয়েছেন ২০১২ সালে বাংলাদেশের ঝিনাইদহ থেকে নদিয়ার আসাননগরে চলে আসা বিকাশ মণ্ডল। তিনিও ধর্মীয় কারণে সপরিবারে এদেশে চলে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। তারপর থেকে অপেক্ষা করছিলেন ভারতীয় নাগরিকত্বের জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে আইন আনতেই তাই আশার আলো দেখতে পান তিনি। সরকারি নিয়ম মেনে গত ২৭ মে অনলাইন পোর্টালে নাগরিকত্বের আবেদন জমা করেন বিকাশ। তার ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার নাগরিকত্বের শংসাপত্র হাতে পান তিনি। যার জন্য তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বারবার ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।