সমীরণ পাল, কামারহাটি: কামারহাটি পৌরসভার ১১নং ওয়ার্ড বিশ্বনাথ পল্লী এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট। কিনে খেতে হচ্ছে পানীয় জল। এলাকার মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলে নোংরা বের হচ্ছে। পৌরসভাকে জানিয়েও কোনও সুরহা মেলেনি।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এই বিশ্বনাথ পল্লীর গা লাগোয়াই তাতিয়া খাল। সেই খালের অবস্থা বেহাল। জমে রয়েছে ময়লার স্তুপ আর তার ওপর দিয়ে গিয়েছে এলাকার পানীয় জল সরবরাহে পাইপ।
এলাকার মানুষের অভিযোগ একটু বৃষ্টি হলেই জল জমে। এরপর ওই পাইপে কোথাও লিকেজের মাধ্যমে খালের জল পাইপে ঢুকে গিয়েই বিপত্তি। একবার নয়, একাধিকবার এই সমস্যায় তাঁরা পড়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা
কামারহাটি পুরসভার ১-২ নং ওয়ার্ডে ডায়রিয়ার প্রকোপ সদ্য কমতেই ফের জল বাহিত রোগের আতঙ্কে ভুগছে বাসিন্দারা। যদিও কামারহাটি পুরসভার পুরো প্রশাসক গোপাল সাহা জানিয়েছেন, এখনও কোনও অভিযোগই পাননি তিনি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে একই সমস্যা উত্তর কলকাতা এবং হুগলিতে। কল খুললেই বেরোচ্ছে ঘোলা জল...
একেবারে ধূসরবর্ণ। পানীয়ের অযোগ্য। হুগলির উত্তরপাড়া থেকে চন্দননগর পর্যন্ত, গঙ্গার ধার ঘেঁষে যেকটা ওয়াটার প্লান্ট রয়েছে, সবগুলোতেই দেখা দিয়েছে একই সমস্যা। গঙ্গার জল পরিশ্রুত করার পরও, বেরচ্ছে ঘোলা জল।
পুরসভার অনুমান, সম্প্রতি দুর্যোগ ও প্লাবনের জেরে গঙ্গার জল অতিরিক্ত ঘোলা হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, ওয়াটার প্লান্ট থেকে জল সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে উত্তরপাড়া থেকে চন্দননগর পর্যন্ত সবকটি পুরসভা। আগের জল, কারও বাড়িতে থাকলে, তা যাতে পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা না হয়, মাইকে চলছে তার প্রচার।
এলাকার ডিপ টিউবওয়েলগুলি চালু করে, সেই জল পাইপলাইনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে। সেই সঙ্গে, ব্যবস্থা করা হয়েছে পানীয় জলের গাড়ির। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও দেখা দিয়েছে জল সঙ্কট। সমস্যায় পড়েছেন উত্তরপাড়া, কোন্নগর, রিষড়া, শ্রীরামপুর, বৈদ্যবাটি, চুঁচুঁড়া সহ বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। পাড়ার মোড়ে এসে জল সংগ্রহ করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ঘোলা জলের সমস্যা না মিটলে, প্লান্ট থেকে জল সরবরাহ করা হবে না। ইতিমধ্যেই জলের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে।