আমডাঙা : পুলিশের বিরুদ্ধে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করে এলাকায় মাদক-বিরোধী মিছিল করলেন আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক (Amdanga TMC MLA)। ফের একবার আমডাঙা থানার পুলিশকে নিশানা রফিকুর রহমানের। আমডাঙায় সমাজবিরোধীদের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। নেশা আমডাঙাকে শেষ করে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তৃণমূল বিধায়ক। এ নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) কাছে নালিশও জানাবেন বলে জানিয়েছেন রফিকুর রহমান। এদিন দারিয়াপুর এলাকায় মাদক-বিরোধী মিছিলে হাঁটেন আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক।


বিস্ফোরক বিধায়ক !


মাদক কারবারের প্রতিবাদ করাতেই কি খুন হতে হয়েছে নৈহাটির শিবদাসপুরে তৃণমূলকর্মী জাকির হোসেনকে ? মূল অভিযুক্ত, মাদক কারবারি নাবালককে উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা থেকে গ্রেফতারের পর সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে যখন মরিয়া পুলিশ, সেই আবহেই পুলিশের বিরুদ্ধে মাদক কারবারে মদত দেওয়ার বিস্ফোরক অভিযোগ তোলেন আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক। "মাদক কোথা থেকে আসছে পুলিশ সব জানে, সব জেনেও মাদক কারবারীদের ধরছে না পুলিশ!" এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক! সরাসরি নিশানা করেছিলেন আমডাঙা থানার IC-কে। তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান বলেছিলেন, সারা জেলার মধ্যে মাদকের ব্যবসা আমডাঙায় সবথেকে বেশি। আপনারা সার্ভে করে দেখতে পারেন। IC সাহেবের উদ্যোগেই বলতে পারেন আপনি। কারা মাদকের ব্যবসা করে, উনি তো চেনেন তাদের। IC সাহেব ভালই চেনেন তাদের।


স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বিভিন্ন জায়গায় মাদক ব্যবসার জাল বিছিয়েছিল তৃণমূল কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত নাবালক। যার অন্যতম ছিল আমডাঙা। এই প্রেক্ষাপটেই পুলিশের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক।  


এরপর উত্তর ২৪ পরগনার দারিয়াপুরে একটি ক্লাবের উদ্যোগে মাদক বিরোধী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তৃণমূল বিধায়ক। তিনি বলেন, আমি আমডাঙার পুলিশকেই বলব, আমডাঙার পুলিশের সবার ভূমিকা কিন্তু, এ ব্যাপারে ভাল নয়। কারণ, একটা চায়ের দোকানে আমি চা খাই, তার পাশে একটা নাকি অটো-টোটো চলে, হেরোইন-টেরোইন বিক্রি হয়। তাকে একজন বলল ওগুলো করিস না, পুলিশ ধরবে। প্রকাশ্যে চেঁচিয়ে বলছে, কেউ পারবে না। পুলিশ আমাদের গায়ে হাত দেবে না। তাই বলছিলাম, আপনারা একত্রিত হোন।


আরও পড়ুন ; বারাসাত কলেজে ইউনিয়ন রুমে মদের আসর! দেখে ফেলায় টিএমসিপি-র সদস্যদের প্রাক্তন নেতাকে মারধরের অভিযোগ