সমীরণ পাল, মধ্যমগ্রাম : উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা চালানোর অভিযোগ। আজ সকালে কারখানায় হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। যদিও তার আগে পলাতক কারখানা মালিক। ইবি সূত্রে খবর, সিল করে দেওয়া হয়েছে ওই কারখানাটি। 


প্রচণ্ড গরমে পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গ। অনেক জায়গাতেই জল কিনে খাচ্ছেন বাসিন্দারা। কিন্তু পয়সা দিয়ে যা কিনতে হচ্ছে, সেই সব জলও আসল তো ? আরও একবার এই প্রশ্ন তুলে দিল উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের ঘটনা।


ফের পর্দাফাঁস হল জাল জলের কারবারের। উঠল, স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বেআইনি পানীয় জলের কারখানা চালানোর অভিযোগ। খবর পেয়ে মধ্যমগ্রামের দেশবন্ধু রোডে বৃহস্পতিবার সকালে একটি পানীয় জল তৈরির কারখানায় হানা দেয় বারাসাত পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও বারাসাতের ফুড সেফটি অফিসার। ইবি সূত্রে খবর, কারখানার মালিক সুপ্রভাত পাল তল্লাশি অভিযানের আগেই পালিয়ে যান। কারখানা থেকে মিলেছে রাসায়নিক। ৭০ থেকে ৮০টি জলের জার। ২ হাজারটি জারের ছিপি। 


অভিযোগ, সাব মার্সিবল পাম্পের সাহায্যে মাটির নীচ থেকে জল তুলে তা বিক্রি করা হচ্ছিল। এমনকী পুরসভার জলও জারে ভরে বিক্রি করা হচ্ছিল।  


এই পরিস্থিতিতে কারখানাটি সিল করে দেওয়া হয় বলে ইবি সূত্রে খবর। এনিয়ে বারাসাতের ফুড সেফটি অফিসার সীমা কুমারী বলেন, কোনও কিছু মানা হত না। আমরা এসে দেখলাম।
 
পুরসভার নজরদারি সত্ত্বেও কীভাবে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বেআইনি জলের কারবার চলতে পারে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। এনিয়ে মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা নিমাই ঘোষ বলেন, আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিই। আরও কোথাও চলছে কি না, তা খুঁজে দেখা হবে।


যদিও কারখানা মালিকের স্ত্রীর দাবি, কোনও নামী সংস্থার নামে জল বিক্রি করা হত না। তিনি বলেন, আমরা কোনও ব্র্যান্ডেড সংস্থার নামে জল বিক্রি করিনি। আমাদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।  


ইবি সূত্রে খবর, কারখানা সিল করে জলের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।