সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উত্তর ২৪ পরগনার শাসনে ভেড়ি থেকে আয়ের টাকা বণ্টন নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। গ্রামবাসীদের দাবি, আগে ঠিকমতো টাকা পাওয়া গেলেও এখন তা পাচ্ছেন না। এই ইস্যুতে একযোগে শাসকদলকে কটাক্ষ করেছে বাম ও বিজেপি। যদিও তা মানতে নারাজ তৃণমূল।               


ভেড়ি থেকে আয়ের টাকা বণ্টনে দলবাজির অভিযোগ। তৃণমূলের দিকে আঙুল তুললেন গ্রামবাসীরা। একই সুর বাম ও বিজেপির গলাতেও। ভিত্তিহীন অভিযোগ, পাল্টা দাবি শাসকদলের। এই নিয়েই সরগরম উত্তর ২৪ পরগনার শাসন। ধান আর মাছ চাষ। এই দু’টিই এখানকার বাসিন্দাদের প্রধান জীবিকা।                 


দাদপুর, কীর্তিপুর ১ ও ২, শাসন এবং সলতি-বেলিয়াঘাটা। এই পাঁচটি পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে ভেড়ি। প্রায় তিরিশ হাজার বিঘার বেশি এলাকাজুড়ে চলে ধান ও মাছ চাষ। এখান থেকে যে টাকা উপার্জন হয়, তার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এক বাসিন্দা বলেন, বাম আমলে যেটুকু টাকা পেতাম তৃণমূল সরকারের আমলে টাকা পাওয়া যাচ্ছে না।                  


গ্রামবাসীদের এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। সিপিএম-এর বারাসাত দক্ষিণ ১ নম্বর এরিয়া কমিটির সম্পাদক কুতুবুদ্দিন আহমেদ বলেন, "আমাদের সময়ে গরিবদের ক্ষমতা দিতাম, এখন শাসকের খেয়োখেয়ি।" বিজেপি নেতা প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, " বামেদের সময় ঠিক হত, এখন হয় না।"      


যদিও বিরোধীদের এই দাবিতে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল।বারাসাত ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মতিহার সাঁপুই বলেন, "আমরা আসার পর সবাই টাকা পায়, সব সুষ্ঠুভাবে হয়।" ভেড়ির দখল নিয়ে সংঘর্ষের জেরে একাধিকবার উত্তপ্ত হয়েছে শাসন। সেই ট্র্যাডিশন এখনও চলেছে সমানে।