সমীরণ পাল, পেট্রাপোল : রুপোর রং করা সোনার হার পাচারের চেষ্টা ! বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার এক। উত্তর ২৪ পরগনার আইসিপি পেট্রাপোলের ঘটনা। ৭.৭৭ লক্ষ টাকার সোনা-সহ পাচারকারী ভারতীয় যাত্রী পাকড়াও। ধৃতের নাম অভিষেক জগন্নাথ। বয়স-২১ বছর।


জানা গিয়েছে, ICP পেট্রাপোলে BSF ১৪৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানরা তাঁদের প্রতিদিনের ডিউটি করেছিলেন। সেই সময় একজন ভারতীয় পাসপোর্টধারী যাত্রীর সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন তাঁরা। কর্তব্যরত BSF জওয়ানরা যাত্রীকে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি চালান। সেইসময় তাঁর গলায় পরা একটি রুপোর কোট দেওয়া সোনার হার উদ্ধার করা হয়। অনুসন্ধানকারী দলের চোখ থেকে আড়াল করার জন্য চেনের উপর রুপোর আবরণ ছিল। চেন সম্পর্কিত নথির অভাবে, যাত্রী কাস্টমস ঘোষণা ছাড়াই উল্লেখিত চেনটি বহন করার চেষ্টা করছিল। সেটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। চেনটির ওজন ১২৩.৩৯০ গ্রাম। যার আনুমানিক মূল্য ৭,৭৭,৩৫৭/- টাকা। 


অভিষেক জগন্নাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি তামিলনাড়ুর বাসিন্দা বলে জানান। তিনি আরও জানান, চাকরির সন্ধানে গতে ১৪ জুন ভারত থেকে বাংলাদেশে গিয়েছিলেন। ঢাকার তাঁতি বাজারের একটি গয়নার দোকানে কাজ করতেন। বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে ভারতে আসছিলেন।


তাঁর দাবি, আসার সময় দোকানের অন্য একজন কর্মী রাজু পাওয়ার তাঁকে এই চেনটি দিয়েছিলেন যা মহারাষ্ট্রে শাঙ্গি জেলার রাহুল পাওয়ার নামে অন্য একজনকে দেওয়ার কথা হয়েছিল তাঁর। যে জন্য তিনি ৮,০০০ টাকাও পেতেন। কিন্তু ICP পেট্রাপোলে সজাগ বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের কর্মীরা তাঁকে সোনার চেন-সহ ধরে ফেলেন। আটক যাত্রী ও বাজেয়াপ্ত হওয়া সোনার চেনের পরে আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কাস্টমস অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।


একে আর্য, ডি.আই.জি, পাবলিক রিলেশন অফিসার(সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার) জওয়ানদের এই কৃতিত্বে খুশি প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, কুখ্যাত চোরাকারবারিরা দরিদ্র ও নিরীহ মানুষকে সামান্য অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। কুখ্যাত পাচারকারী চক্র সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত নয়। তাই তারা দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে। 


তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেছেন যে, তাঁরা যদি সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনও তথ্য পান তবে বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯-এ এই তথ্য দিতে পারেন। এছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর (৯৯০৩৪৭২২২৭) জারি করেছে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা স্বর্ণ চোরাচালান সম্পর্কিত ভয়েস বার্তাও পাঠানো যেতে পারে। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারে পুরস্কৃত করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।