সমীরণ পাল, ইছাপুর (উত্তর ২৪ পরগনা):  দুর্ঘটনায় পা হারানো ভিখারিকে নকল পায়ের জন্য টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় একাকী মহিলাকে খুন (Icchapur Woman Murder)। উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Paraganas) ইছাপুরের ওই খুনের ঘটনায় ২ দিনের মধ্যে কিনারা করল পুলিশ (Police)। গ্রেফতার অভিযুক্ত। রবিবার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৭২ বছরের সিক্তা চট্টোপাধ্যায়ের গলাকাটা মৃতদেহ। পুলিশ সূত্রে খবর, অসহায়, দুঃস্থদের টাকাপয়সা দিয়ে সাহায্য করতেন মহিলা। সেই সূত্রেই অভিযুক্ত অঞ্জন চৌধুরীর সঙ্গে পরিচয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বেশ কয়েকবছর আগে ছিনতাই করতে গিয়ে পা কাটা যায় ধৃতের। মহিলা তাঁকে নকল পায়ের জন্য ১৫ হাজার টাকা দেবেন প্রতিশ্রুতি দেন। অভিযোগ, রবিবার সেই টাকা চাইতে আসে অভিযুক্ত। এ নিয়ে মহিলার সঙ্গে বচসার জেরে ওই দুষ্কৃতী গলায় শাড়ির আঁচল পেঁচিয়ে মহিলার শ্বাসরোধ করে। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ফল কাটার ছুরি দিয়ে গলার নলি কেটে দেয় বলে অভিযোগ। গতকাল গাড়ুলিয়া থেকে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ।


উত্তর ২৪ পরগনার ইছাপুরে গলার নলি কেটে মহিলাকে নৃশংসভাবে খুন করা হয় ওই বৃদ্ধাকে।  রক্তের দাগ দেখে, তদন্তকারীদের অনুমান ছিল, মৃতদেহ এক ঘর থেকে অন্য ঘরে টেনে নিয়ে গেছে আততায়ীরা। ঘটনার জেরে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল ঘর।  পাওয়া যায়নি  মহিলার মোবাইল ফোনটি। তবে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান ছিল, কোনও লুঠপাট হয়নি। তাহলে, একাকী মহিলাকে কেন এ’ভাবে গলা কেটে খুন করা হল, তা নিয়ে ঘনীভূত হয়েছিল রহস্য।


স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়িতে একাই থাকতেন ৭৩ বছরের সিক্তা চট্টোপাধ্যায়। মেয়ে পুণেতে থাকেন। গত রবিবার রাতে সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বিকেলে দুধ দিতে এসে, কোনও সাড়াশব্দ পাননি দুধওয়ালা। কী কারণে মহিলাকে খুন করা হল, তা জানতে  তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে আনা হয় পুলিশ কুকুর। তারপর দুদিনের মধ্যেই হত্যা রহস্যের কিণারা হল বলে পুলিশ জানিয়েছে।