সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নৈহাটি স্টেশনে ট্রেনে চল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার বেশ কিছু কচ্ছপ। এই কচ্ছপগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। শিয়ালদাগামী ডাউন গোরক্ষপুর পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস নৈহাটি স্টেশনে পৌঁছায় ঠিক তখন ট্রেনে উঠে পড়েন জিআরপি ও আরপিএফের আধিকারিকরা। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে ওই ট্রেনে তল্লাশি চালানো হয় । ট্রেনের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় জিআরপি এবং আরপিএফ কর্তাদের । এরপর ওই ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে কচ্ছপ । এরপর আরও পাঁচটি ট্রলি ব্যাগ উদ্ধার করা হয় । তারপর ওই ব্যাগের মালিককে খুঁজে পান নৈহাটি জিআরপি ও আরপিএফ এর আধিকারিকরা। তাঁর নাম বিক্রম বলে জানা গেছে। জিআরপি তরফ থেকে বিক্রম ও তার পরিবারের ৬ জনকে নৈহাটি স্টেশনে জিআরপি অফিসে নিয়ে আসা হয় । বিক্রমকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জানা যায়, তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর এলাকায়। তাঁর সঙ্গে ৬ জন মহিলা ও একজন শিশুও রয়েছে । তাঁদের আটক করা হয়। জিআরপির সূত্রে জানানো হয়েছে যে কচ্ছপ গুলো উদ্ধার হয়েছে তার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ লক্ষ টাকা ।
এর আগে গত মাসে জেলা বনদফতর অভিযান চালিয়ে গাইঘাটা থানার পাঁচপোতা বাজার এলাকায় ১০০ টি কচ্ছপ সহ ৪ জনকে ধরে ফেলেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই বনদফতরের কাছে খবর ছিল পাঁচপোতা সহ বিভিন্ন এলাকায় গোপনে কচ্ছপ বিক্রি হচ্ছে। সেইমতো শনিবার পাঁচপোতা বাজারে হানা দেয় বনদফতর। হাতেনাতে ২ জন বিক্রেতা ও ২ জন কচ্ছপ কাটার কাজ করা ব্যক্তিদের পাকড়াও করা হয়। ধৃতদের আগামীকাল বারাসাত জেলা আদালতে তোলা হয়।
এরইমধ্যে গতমাসে পাচারের আগেই মাছ বোঝাই গাড়ি থেকে বহু কচ্ছপ উদ্ধার করেছিলেন শালুগাড়া বনদফতরের বনকর্মীরা। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে,শালুগাড়া বনদফতর রেঞ্জার সঞ্জয় দত্তের নেতৃত্বে শালুগারা রেঞ্জের বন দফতরের কর্মীরা শিলিগুড়ির দার্জিলিং মোড়ে অভিযান চালিয়েছিলেন।সেখানে একটি মাছ বোঝাই গাড়ি আটক করেন তাঁরা। সেই মাছ বোঝাই গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিশাল আকৃতির বহুমূল্য কচ্ছপ উদ্ধার করেন শালুগারা রেঞ্জের বন দফতরের কর্মীরা। জানা গিয়েছে,বিহার থেকে শিলিগুড়ির চম্পাসরিতে পাচার করা হচ্ছিল এই কচ্ছপ গুলি।মাছের কার্টুনের ভেতরে করে পাচার করা হচ্ছিল এই কচ্ছপ গুলিকে।পাচারের আগেই শালুগারা রেঞ্জের বন দফতরের কর্মীরা বহুমূল্য কচ্ছপগুলিকে উদ্ধার করে।পাশাপাশি মাছ বোঝাই গাড়িটিকে আটক করা হয়েছে।