সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: জগদ্দল (Jagaddal) থানা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করল পুলিশ (Police)। সেই এলাকার বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে জেরা করে এই বোমাগুলোর খোঁজ পেয়েছিল পুলিশ। বিভিন্ন তথ্য নিয়ে তারা সেই সব এলাকায় তল্লাশি চালায়। 


৩০টি তাজা বােমার খোঁজ


পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে, প্রায় ৩০টি তাজা বোমার হদিশ মিলেছে। এদিন এই বোমা উদ্ধারে বেরিয়ে জগদ্দল থানায় সিআইডির বোম ডিসপোজাল স্কোয়ার্ড আসে এবং বোমাগুলিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় নিষ্ক্রিয় করার জন্যে পেপার মিলের ভিতরে, সেখানেই নিষ্ক্রিয় করা হয় বোমাগুলিকে।


প্রশাসনের তৎপরতায় রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন এলাকায় বোম তৈরির কারখানাকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাজা বোমা নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে। কিছুদিন আগেই বোমা বিস্ফোরণে ফের কেঁপে উঠেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের পুন্দড়া গ্রাম। রাতে তৃণমূল সমর্থকের বাড়ির পেছনে সেপটিক ট্যাঙ্কে লুকিয়ে রাখা ছিল বোমা। আর সেই বোমা হঠাৎই ফেটে এই বিস্ফোরণ, বলে খবর। এই ঘটনায় বাড়ি মালিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর।  


স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ অধর গড়াইয়ের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে মজুত বোমা ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। অভিযুক্তের পরিবার নিজেদের তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করলেও দলীয় যোগ অস্বীকার তৃণমূল শিবিরের। গেরুয়া শিবিরের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই তৃণমূলের মদতে বোমা মজুত করা হয়েছিল।  


স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন বিস্ফোরণে তীব্রতা এতটাই আশেপাশের বাড়ির লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে এসে দেখে কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে গোটা এলাকা। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নুড়ি পাথর। এরপর দাঁতন থানার পুলিশে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাড়ির মালিককে গ্রেফতার করে তাঁরা।                                         


আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাত্র পরিষদের 'মার', লালবাজারে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের SFI সদস্যদের অভিযোগ