সমীরণ পাল, হাবরা: ব্যবসায়ী খুন হাবরার নগরউখরা মোড়ে। হাবরা (habra) বাজারে এক ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে খুন করার অভিযোগ এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। নিহত ব্যবসায়ী (businessman) নাম পার্থ বিশ্বাস বয়স ৪০। তাঁর গলায় ছুরি মারা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ওই ব্যবসায়ীর টাকা পয়সা নিয়ে গন্ডগোল এর জেরে খুন।


এদিকে, অন্য একটি বিক্ষিপ্ত খবরের দিকে চোখ রাখা যাক, সরকারকে ধান বিক্রি করেও লাভের লাভ হচ্ছে না। অভিযোগ, রায়গঞ্জ ব্লকের কৃষকদের একাংশের। তাঁদের দাবি, সরকারি মাণ্ডিতে বিক্রি করলেও ১ কুইন্ট্যাল ধান দিলে ৯২ বা ৯৩ কেজির দাম দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানা নেই বলে দাবি, জেলা তৃণমূল সভাপতির। ধান কেনার নামে কাটমানি নিচ্ছে সরকার। অভিযোগ বিজেপির। 


ফড়েরাজ শেষ করতে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার ব্যবস্থা রয়েছে সরকারের। বাজারের চেয়ে বেশি দাম পাওয়ায় সরকারকে ধান বেচতে উৎসাহী হন কৃষকরাও। কিন্তু উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের কৃষকদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় উদয়পুর মাণ্ডিতে ধানের পুরো দাম মিলছে না। ফলে বাজারের বদলে সরকারকে বিক্রি করেও লাভ হচ্ছে না।


কৃষকদের অভিযোগ, প্রতি কুইন্ট্যালে ৭-৮ কেজি ধান বেশি নেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ ১০০ কেজি ধান বিক্রি করলে ৯২ বা ৯৩ কেজি ধানের দাম দেওয়া হচ্ছে। এই বাড়তি ধান নেওয়ার পদ্ধতিকে স্থানীয় ভাষায় ধলতা বলে। রায়গঞ্জ ব্লকের ধানচাষি সুজিত সরকার বলেন, ধলতায় কেটে নেওয়ায় দাম পাচ্ছি না, তাহলে বাজারে বিক্রি না করে সরকারকে করে আলাদা করে লাভ কী হল। কৃষকদের অভিযোগ, নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে ধান কেনার কথা থাকলেও তা শুরু হয়েছে ২৬ তারিখ। রায়গঞ্জ ব্লকের ধানচাষি মকবুল সরকার বলেন, আমরা গরিব, একে তো ২৫ দিন পর টাকা পাচ্ছি, তার ওপর ধলতায় টাকা কেটে নিচ্ছে। ধান বেচে অন্য ফসল লাগাই, সরকার সুবিধা দিলেও সেই সুবিধা পাচ্ছি না। সরকার নির্ধারিত থেকে কম ধান নেওয়া হচ্ছে।