সমীরণ পাল, হাবড়া: আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলির কোনও সদস্যের মৃত্যু হলে শেষকৃত্যের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সমব্যথী প্রকল্পে দেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। কিন্তু উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে সেই টাকা পাওয়া নিয়েই উঠছে টালবাহানার অভিযোগ। বিড়া বল্লভপাড়ার বাসিন্দা অভিযোগকারী অভিজিৎ মণ্ডলের দাবি, গত বছরের জুলাই মাসে মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রীর। এক বছর চার মাস পরেও মেলেনি সমব্যথী প্রকল্পের টাকা। বারবার ঘোরানো হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে বিডিও-র দ্বারস্থ হয়েছেন ওই আবেদনকারী।
স্থানীয় পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, এক বছর কেটে গেলেও সমব্যথী প্রকল্পের টাকা পাননি, এমন আবেদনকারীর সংখ্যা ১৯২।
সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে টালবাহানাকে হাতিয়ার করে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছে বিজেপি। বারাসাত সাংগঠনিক জেলার বিজেপি ওবিসি মোর্চা সভাপতি নীলরতন মিত্র বলেছেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস প্রকল্প চালু করে ভাঁওতা দেয়, কিন্তু টাকা পাওয়া যায় না। শুধু সাধারণ মানুষের ভোগান্তি।’
সমস্যার কথা মেনে নিয়ে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তৃণমূল পরিচালিত বিড়া রাজীবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ মিনহাজউদ্দিন। তাঁর বক্তব্য, ‘অনেকে টাকা পাননি। সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আমার ফোন নম্বর দিয়ে সবাইকে বলেছি বিষয়টা জানাতে। কেউ জানায়নি।’
ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, সমব্যথী প্রকল্পের আবেদনপত্র স্ক্রুটিনি করতে সময় লাগে। প্রচুর আবেদন জমা পড়ছে। খতিয়ে দেখে টাকা মঞ্জুর করা হচ্ছে। প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে কবে মিলবে সরকারি সাহায্য, তা নিয়ে এখনও সংশয়ে সমব্যথী প্রকল্পের আবেদনকারীরা।
অন্যদিকে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রচুর পরিমাণ মাদক উদ্ধার করল নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। গ্রেফতার মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ, ওষুধের দোকানের মালিক-সহ ৬। এনসিবি সূত্রে খবর, ব্যারাকপুর থেকে নদিয়া হয়ে বাংলাদেশে মাদক পাচারের ছক ছিল। তার আগেই সীমান্ত এলাকায় এনসিবি-র হাতে ধরা পড়ে মাদক পাচারকারীরা। সূত্রের খবর, মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের বাড়ির গুদামেই মজুত করা হত মাদক। এই চক্রে ওষুধের ডিস্ট্রিবিউটর ও দোকান মালিক-সহ ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।