সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস নিয়ে উঠল কালোবাজারির অভিযোগ। সেই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার ২ জন। বুধবার উক্কর ২৪ পরগনা (North 24 Pargana) বারাসতে নবপল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয় দুজনকে। উদ্ধার হয়েছে উজ্জ্বলা যোজনার ১১টি গ্যাস সিলিন্ডার। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গতকাল অভিযান চালায় বারাসাত (Barasat) পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাস সংক্রান্ত দুর্নীতিতে আর কারা জড়িত তার খোঁজ করা উচিত। 


কী অভিযোগ:
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কয়েকমাস ধরে প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার গ্যাসের সিলিন্ডার বারাসাতের বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁয় বিক্রি করা হচ্ছিল। ওই সিলিন্ডার গৃহস্থের বাড়িতে ব্যবহারের জন্য, বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য নয়। তবুও সেগুলি বাণিজ্যিক কাজের জন্যই বিক্রি করা হচ্ছিল। উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের নবপল্লির বাসিন্দা অমিত সাহা বলেন, 'গ্যাস ভরে বিক্রি হচ্ছিল। পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে।' 


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার নবপল্লি এলাকায় অভিযান চালায় বারাসাত পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সেখানেই কালোবাজারির অভিযোগে হাতেনাতে ২ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় মোট ১১টি গ্যাস সিলিন্ডার। পুলিশ সূত্রে খবর, বারাসাতের দুটি নামী রেস্তোরাঁয় এ ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। এই কালোবাজারি চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


ইদানিং রান্নার গ্যাসের দাম ক্রমশ বাড়ছে। জ্বালানির জ্বালায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা বাসিন্দাদের জন্য এই গ্যাসের প্রকল্প। সেগুলিতেও এমন দুর্নীতি হওয়ায় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা।  

আগেও অভিযোগ:
এর আগে উজ্জ্বলা গ্যাস যোজনা নিয়ে আরও অভিযোগ উঠেছে। জুন মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় বিজেপির অফিস থেকে উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্যাস বিলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। বেলদার দেউলি গ্রামে বিজেপির অফিস থেকে এই কাজ করা হচ্ছিল। যদিও ওই ঘটনার কথা অস্বীকার করেনি বিজেপি। তাদের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি ছিল, গ্রামের বাসিন্দারা জানতেন না কোথায়, কীভাবে প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাবে, তাঁদের সাহায্য করতেই এমন কাজ করা হচ্ছিল বলে দাবি। পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন স্থানীয় তৃণণূল বিধায়ক।      


আরও পড়ুন: শহরে নতুন ক্যানসার চিকিৎসা কেন্দ্র, সুরাহা পাবেন অসংখ্য রোগী