সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (Primary Health Center) থাকা গাছের ডাল কেটে তা বিক্রি করাই ছিল লক্ষ্য। এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যের নির্দেশে সেই ডাল কাটতে এসে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়লেন ২ শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে বারাসাত (Barasat) কদম্বগাছি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেই ডাল কাটতে আসা ২ শ্রমিককে বেঁধে রেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যারা গাছের ডাল কাটছিলেন, তাঁদের দাবি যে পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর নির্দেশেই এই ডাল কাটা হচ্ছিল। এরপর সেই ঘটনা পঞ্চায়েত প্রধানকে জানানো হলে, তাঁর তরফ থেকে জানানো হয় যে কেউ যদি না জানিয়ে গাছের ডাল কেটে থাকে, তবে তা প্রমাণিত হল আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঠিক কী হয়েছিল?
বারাসাত এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির কদম্বগাছি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যেই একাধিক বড় বড় শিরিষ গাছ রয়েছে। অভিযোগ যে, সেই গাছের ডালই কাটতে এসেছিলেন ২ শ্রমিক। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখে সন্দেহ হয়। তাঁর ২ শ্রমিককে জিজ্ঞাসা করে যে কার নির্দেশে এই ডাল কাটা হচ্ছে। প্রথমে সেই শ্রমিকরা কিছু বলতে অস্বীকার করে। পরে তাঁদের দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে এলাকার মানুষ চাপ দিলে তখনই তাঁরা পঞ্চায়েত সদস্যের নাম বলে দেয়। আর তাঁরা বলেন যে সেই পঞ্চায়েত সদস্যের নির্দেশেই না কি তাঁরা এই ডাল কাটতে এসেছিল।
কিছুই জানেন না পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী
কিন্তু পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী দাবি করেন তিনি কিছুই জানেন না তিনি এলাকায় ছিলেন না কার নির্দেশে কাটছিলেন তিনি জানেন না। তিনি বলেন যে, যাঁরা অভিযোগ করছে তাঁরা আমফানের সময় বড় বড় মোটা মোটা ডাল কেটে নিয়ে পালিয়েছে, তাঁরাই এখন এই ধরনের অভিযোগ করছে। অন্যদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি কার নির্দেশে গাছের ডাল কাটা হচ্ছিল তা তাঁর জানা নেই। তিনি বলেন, ''আমি খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। সেই সময় দেখি যে গাছের ডাল কাটা হয়েছে। যদি কেউ সত্যিই এই ঘটনায় দোষী হয়, তবে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্টোদিকে এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব এই নিয়ে খোঁচা দিয়েছে তৃণমূলকে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, তৃণমূল কংগ্রেসের সবস্তরের মানুষই চোর। গাছ কাটাই না কি তাঁদের সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে।