সত্যজিৎ বৈদ্য, ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, সমীরণ পাল, উত্তর চব্বিশ পরগণা: কোথাও ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইভিএম। কোথাও লন্ডভন্ড অবস্থা ভোটযন্ত্রের। বারাসাত থেকে বসিরহাট কিংবা রাজপুর-সোনারপুর থেকে ভাটপাড়া কিংবা হরিণঘাটা থেকে রঘুনাথগঞ্জ। গণতন্ত্রের উৎসবে এই ছবি দেখা গেল ৬ পুর এলাকায়। ভোট শুরুর দু’ঘণ্টার মধ্যেই চার জেলার ৬ পুর এলাকায় ভাঙচুর হল ৯টি ইভিএম। গ্রেফতার করা হল ২ বিজেপি প্রার্থীকে। 


ভোটের সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। বিদ্যানিধি স্কুল, সারদা বিদ্যাপীঠ ও  হরকালী বিদ্যাপীঠের বুথে
ইভিএম আছড়ে মেরে ভেঙে দেওয়া হয়। বারাসাতের চন্দনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে ইভিএম ভাঙচুরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্ত বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে কার্যত হাতাহাতি বেধে যায় তৃণমূল কর্মীদের। বিজেপি প্রার্থীকে আটক করে পুলিশ। তাঁর সোজাসাপ্টা কথা , ' তৃণমূল ফলস ভোট দিচ্ছে তাই ভেঙে দিয়েছি ইভিএম '  

আরও পড়ুন - 


খবর করতে গিয়ে প্রহৃত, উত্তর দমদমে রক্তাক্ত এবিপি আনন্দের দুই প্রতিনিধি


বসিরহাটের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের দুটি বুথে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুজয় চন্দ্রকে। একই ছবি ভাটপাড়া পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডেও। শ্রীগান্ধী বিদ্যাপীঠে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীর স্বামীর বিরুদ্ধে। পাশের জেলা নদিয়ার হরিণঘাটার ২ নম্বর ওয়ার্ডেও ভাঙচুর হয়েছে ইভিএম।  গ্রেফতার করা হয় ওই ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী সুরেশ শিকদারকে।  


দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে সবার নজর উত্তর ২৪ পরগনায়। বারাসাত, ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া খড়দা, কামারহাটি, বনগাঁ-সহ মোট ২৫টি পুরসভায় ভোট। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,মোট ৬৪৬টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬২৯ টিতে ভোটগ্রহণ রবিবার। নির্ধারিত হবে ২ হাজার ৩০৪ প্রার্থীর ভাগ।
মোট ৪ হাজার ৩১টি বুথে ভোটগ্রহণ, নিরাপত্তায় ব্যারাকপুর কমিশনারেট মোতায়েন ১২ হাজার পুলিশকর্মী। রয়েছে ১৫টি করে QRT ও HRFS। বারাসাত পুলিশ জেলায় রয়েছে ৩ হাজার পুলিশ কর্মী। আর বনগাঁ পুলিশ জেলায় ৬০০ পুলিশ ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে।