সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: পেট্রাপোলে চাষের জমি থেকে উদ্ধার হল রহস্যজনক ড্রোন। পেট্রাপোল থানার পুলিশ এসে ড্রোনটিকে উদ্ধার করে। ড্রোনটি কারা উড়িয়েছিল? কোথা থেকে ড্রোনটি এসেছে? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া জম্মু-কাশ্মীর, পাঞ্জাব ও রাজস্থানের পরে এবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাওয়া গেল রহস্যজনক ড্রোন! উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর কাছে, পেট্রাপোল সীমান্তে সন্দেহজনক ড্রোন উদ্ধার! প্রশাসন সূত্রের দাবি, এই প্রথম ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে উদ্ধার হল অচেনা ড্রোন! শনিবার সকালে পেট্রাপোলের কলিয়ানি এলাকায়, চাষের জমিতে ড্রোনটি পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এক ব্যক্তি! এখান থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের দূরত্ব মেরেকেটে তিনশো মিটার। ছয়ঘড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত, পেট্রাপোলের সদস্য বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, ''আমি জল দিতে এসে দেখতে পাই যে এখানে কি একটা পড়ে আছে। আশপাশের কয়েকজনকে ডেকে নিয়ে আসি এরপর। তারপর থানাকে ইনফর্ম করা হয়।''
ড্রোনটি উদ্ধার করার পরে পেট্রাপোল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধার হওয়া ড্রোনটি চিনে তৈরি। এই ধরনের ড্রোন ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ভারবহন করতে সক্ষম বলে পুলিশের দাবি।
ড্রোনের মাধ্যমে প্রতিপক্ষ দেশের ওপর নজরদারির পন্থা নতুন নয়। এর আগে বহুবার পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া জম্মু-কাশ্মীর পাঞ্জাব ও রাজস্থানে সন্দেহজনক ড্রোনের গতিবিধি ধরা পড়েছে। কখনও গুলি করে ড্রোন নামিয়েছে বিএসএফ।
গত বছরের জুন মাসে, জম্মু এয়ারফোর্স স্টেশনে জোড়া বিস্ফোরণ ঘটানো হয় ড্রোনের মাধ্যমেই! এবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী পেট্রাপোলে ড্রোন উদ্ধারে ক্রমশ বাড়ছে রহস্য!
পেট্রাপোল সীমান্তে উদ্ধার হওয়া এই ড্রোনটি এল কোথা থেকে? কারা উড়িয়েছিল সেই ড্রোন? তাহলে কি কোনও কিছু পাচার হচ্ছিল ড্রোনের মাধ্যমে? নাকি উদ্দেশ্য ছিল নজরদারি করা? সবদিক, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ড্রোনটিকে কেউ উড়তে দেখেছিলেন কি না? সেই বিষয়ে গ্রামবাসীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে BSF’র সঙ্গেও কথা বলা হবে বলে জানিয়েছেন পেট্রাপোল থানার পুলিশ।