সমীরণ পাল, বনগাঁ: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১৮ কেজি ইলিশ সহ এক টোটোচালককে গ্রেফতার করল সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত চৌকি হাকিমপুর, ১১২ ব্যাটালিয়ন অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ নিয়ে আসার চেষ্টা করছিলেন ধৃত টোটোচালক। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে আটকান সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। তল্লাশির সময় তাঁর কাছ থেকে পাওয়া যায় ১৮টি ইলিশ, যার ওজন ১৮ কেজি।


সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রে খবর, গোয়েন্দা বিভাগের তথ্যের ভিত্তিতে ইলিশ পাচার রোখার জন্য জওয়ানদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। বুধবার সীমান্ত চৌকি হাকিমপুর, ১১২ ব্যাটালিয়ন, সেক্টর কলকাতার জওয়ানরা আন্তর্জাতিক সীমান্তে রুটিন ডিউটির সময় একটি  সন্দেহজনক টোটো আসতে দেখে সেটিকে আটকান। তল্লাশির সময় পাওয়া যায় ১৮টি ইলিশ। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা তখনই বাজেয়াপ্ত সামগ্রী সহ ওই টোটো চালককে আটক করেন। ধৃত ব্যক্তির নাম ইমাম হুসেন ধলাই। তাঁর বয়স ২০বছর। ধৃতের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানা এলাকার তারালি মাঝেরপাড়া গ্রামে।


প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত তরুণ দাবি করেন, তিনি একজন ভারতীয় নাগরিক। অর্থের প্রয়োজনে তিনি ছোটখাটো চোরাচালানের কাজ করেন। এই ইলিশ মাছগুলি তিনি নিজের গ্রামের বাসিন্দা মাধব পালের কাছ থেকে কেনেন। হাকিমপুর চেকপোস্ট পার করার পর সেগুলি ফের মাধব পালকেই ফেরত দিতেন তিনি। এর জন্য তাঁকে এক হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পথে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা তাঁকে ধরে ফেলেন। বাজেয়াপ্ত করা জিনিসপত্র সহ ধৃতকে তেঁতুলিয়ার কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।


সীমান্ত চৌকি হাকিমপুর, ১১২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার নারায়ণ চাঁদ জানিয়েছেন, সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা তাঁদের কর্তব্য পালন করেছেন। তার ফলেই এই চোরাচালানকারীকে ধরা সম্ভব হয়েছে। জওয়ানরা তৎপর ছিলেন বলেই ইলিশ চোরাচালান রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ভবিষ্যতেও চোরাচালান রোখার জন্য একইরকম তৎপরতার সঙ্গে কাজ করতে হবে জওয়ানদের।