সমীরণ পাল, পানিহাটি (উত্তর ২৪ পরগনা) : পানিহাটিতে সুড়ঙ্গ-রহস্য (tunnel)! গোপন সুড়ঙ্গে বেশ কয়েক জন অপহৃত কিশোরকে (youth) আটকে রাখা হয়েছে। বিহার পুলিশের দেওয়া এই সূত্রের সন্ধানে সকাল থেকে হুলুস্থূলকাণ্ড পানিহাটির (panihati) নরসিংহঘাট রোডে। ঝোপ-ঝাড় সাফ করে চলল মাটি খোঁড়া। সবমিলিয়ে যা নিয়ে দিনভর 'চলল টানটান নাটক। মাটি খুঁড়ে তল্লাশির পর অবশ্য কিছু পাওয়া যায়নি।


ঠিক কী হয়েছিল


পুলিশ (police) সূত্রে দাবি, বিহারের অপহৃত এক কিশোর পুলিশের কাছে দাবি করে, আরও কয়েকজনের সঙ্গে সুখচরের নরসিংহঘাট রোডে একটি সুড়ঙ্গে তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। সেই মতো ওই কিশোরকে নিয়ে পানিহাটিতে আসে বিহার পুলিশের একটি দল। কিশোরের দেখিয়ে দেওয়া এলাকায় শুরু হয় সুড়ঙ্গের খোঁজে তল্লাশি। প্রথমে জমির ঝোপ-ঝাড় সাফ করা হয়। তার পর ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাদের উপস্থিতিতে পাঁচিল ঘেরা এই জমির চার কোণায়, সুড়ঙ্গের খোঁজে মাটি খোঁড়া শুরু হয়। যদিও, শেষ পর্যন্ত কোনও সুড়ঙ্গের হদিশ মেলেনি। 


কী জানাচ্ছে পুলিশ


৩ ফুটের মতো মাটি খুড়তেই জল ওঠে আসে। তারপরই বন্ধ করে দেওয়া হয় মাটি খোঁড়া। জমির মালিক জানিয়েছেন, পুলিশ বলেছে জমি খুঁড়ছে। কিন্তু ঘেরা জায়গা, কী করে সুড়ঙ্গ থাকবে! পুলিশ সূত্রে খবর, বিহার পুলিশ ওই কিশোরকে নিয়ে এসেছিল। তার ভিত্তিতে তল্লাশি চালানো হয়। কিছুই পাওয়া যাননি। ওই কিশোরকে আদৌ সুড়ঙ্গে রাখা হয়েছিল কি না? সেটা পানিহাটিতে না অন্য কোথাও, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


কিছুদিন আগে চন্দননগরের স্ট্র্যান্ড রোড এলাকায় ধস মেরামতি করতে গিয়ে সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া যায়। তা আসলে ফরাসি আমলের তৈরি। মাটির নিচ দিয়ে ড্রেনেজ সিস্টেম করা হয়েছিল। ওই ড্রেনেজ সিস্টেমেরই একটা অংশ ধস কবলিত হয়েছিল। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যাচ্ছে, ১৭৬৩ থেকে ১৭৬৬ সালে চন্দননগর শহরজুড়ে এমনই নর্দমা তৈরি করা হয়। এই নর্দমাগুলি চন্দননগরের অন্যতম স্থাপত্য বলে জানাচ্ছেন ইতিহাসবিদরা। তাঁদের বক্তব্য, মাটির ওপরে যে রকম স্থাপত্য রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে, মাটির নিচের স্থাপত্যগুলোও আধুনিক পদ্ধতিতে যেন রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এমনই একটি নর্দমায় ধস নেমেছে।


আরও পড়ুন- চন্দননগরে ধস মেরামতি করতে গিয়ে দেখা মিলল সুড়ঙ্গর, কী রয়েছে সেখানে?